১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:২৫

ড. মো. নেয়ামুল ইসলামের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদক

ড. মো. নেয়ামুল ইসলামের বইয়ের প্রকাশনা উৎসব

দেশগুলোর মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা ফলপ্রসু করতে অভ্যন্তরীণ হোমওয়ার্ক করতে হবে বলে মত দিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনরা। 

শনিবার বিকেলে রাজধানীর সার্কিট হাউজ রোডে তথ্য ভবন অডিটোরিয়ামে ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম রচিত ‘দি আন্ডারস্টান্ডিং অব ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট: দি রহেট্রিক অ্যান্ড রিয়েলিটি অব সাফটা’-বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা এই মতামত দেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিপিডির সম্মানীয় রিসার্চ ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ আলী আহমেদ, অর্থমন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও সানেম এর নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়া, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহরুখ মহিউদ্দীন। বইয়ের লেখক ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার। বর্তমানে তিনি এনবিআরের প্রথম সচিব (কাস্টমস) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ড. মো. নেয়ামুল ইসলাম বলেন, সাফটা কি ম্যান্ডেড নিয়ে শুরু হয়েছিল, কি হবে সে বিষয়টি বইটিতে তুলে ধরা হয়েছে। বাণিজ্য সহজীকরণ, গ্যাট এগ্রিমেন্টের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। পলিসি মেকার, রিসার্চারদের কাজে লাগবে বইটি।

বই সম্পর্কে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বইটির প্রতিপাদ্যের দুইটি দিক রয়েছে। এর একটি হলো, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং অপরটি হলো আঞ্চলিক সহযোগিতা ও আন্তর্জাতিক আইন। আইন ও বাণিজ্য-এই দুইটি একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ড ড. নেয়ামুল এর আছে। তিনি বলেন, বইটি সাফটা বা সার্ক নিয়ে লিখিত কোন বই না। সাফটা বা সার্ক মৃত বা এক্সিবিশনে এর ব্যবহার নেই বা কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলেছে-বইটি এর উপর লেখা কিন্তু নয়। বইটি মূলত মুক্ত বাণিজ্যের অঙ্গীকার এর উপর লেখা। বিশেষভাবে সাফটার বিভিন্ন রেফারেন্স তুলে ধরা হয়েছে। বইটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তি ও আলোচনার বিষয়ে ম্যাসেজ দেয়। তিনি আরো বলেন, একজন ভালো স্কলারের কৃতিত্ব হলো অল্প কথায় অনেক কিছু তুলে ধরা। এই বইতে নেয়ামুল অল্প কথায় সব তুলে ধরেছেন। বইটিতে পুরো দক্ষিণ এশিয়াকে একটি ইন্ট্রিগ্রেটেড এনটিটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সাফটার মধ্যে যে মিসিংগুলো হয়েছে-তা খুঁজে বের করে এই বইতে তুলে ধরা হয়েছে। বইতে সেই মিসিংগুলোর সঙ্গে নাফটার সংযোগ দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুক্ত বাণিজ্য, আর্ন্তজাতিক আইন, অর্থনীতি, গবেষণার কাজে বইটি উপকারে আসবে।

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর