শীতকালে খুশকি সাধারণত ড্রাই স্ক্যাল্পের কারণে হয়ে থাকে। অনেকাংশে দায়ী চুলের যত্ন না নেওয়া ইত্যাদি। মূলত এটি শুষ্ক আবহাওয়া, ঠাণ্ডা বাতাস এবং ম্যালাসেজিয়া নামক ছত্রাকের ফল। এতে হেয়ার স্ক্যাল্পে চুলকানি দেখা দেয় এবং স্ক্যাল্পের মৃত কোষ (চামড়া) ওঠা শুরু করে। ফলে চুলে সাদা গুঁড়ার মতো দেখা দেয়। সমস্যা সমাধানে অর্থাৎ খুশকি কমাতে এবং সঠিক চিকিৎসার জন্য হেয়ার প্রোডাক্টের দিকেও নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
তেলে খুশকি বাড়ে?
তবে ঘরে বসেই নানা উপায়ে খুশকির প্রতিকার করা সম্ভব। এমন একটা উপায় হলো মাথায় তেল দেওয়া।
চুলে তেল দেওয়া ভালো। তবে খুশকির জন্য ভালো নয়। এমনটা মনে করেন শোভন মেকওভারের কসমোলজিস্ট শোভন সাহা। এই এক্সপার্টের ভাষ্য, ‘অনেকেই খুশকি হলে মাথায় তেল দেন না। তৈলাক্ত মাথার ত্বক খুশকির জন্য উপাদেয়। অন্যদিকে তেল ত্বকের মৃত কোষের সঙ্গে মিশে যায়। ফলে অতিরিক্ত চুলকানির সৃষ্টি হয়।’
তেল সব ধরনের চুলের প্রাকৃতিক এবং প্রাচীনতম উপকরণ। অনেকে মনে করেন, তেল প্রয়োগের মাধ্যমে স্ক্যাল্পে জমে থাকা সাদা ফ্লেক্সগুলো সরিয়ে ফেলবে। নারকেল তেল এবং অলিভ অয়েলে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড খুশকির প্রবণতা বাড়ায়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, খুশকি আক্রান্ত স্ক্যাল্পে তেল ব্যবহারে চুল পড়ার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হতে পারে। এ ছাড়াও দীর্ঘ সময় চুলে তেল দিয়ে রাখলে চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
বি বিউটিফুল এক প্রতিবেদনে জানায়, বেবি অয়েলের মতো তেল খুশকির চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে না। অন্যদিকে সাধারণ তেল খুশকির জন্য খারাপ। শুধু মনে রাখতে হবে, সপ্তাহে কয়েকবার মাথায় তেল দেওয়া ভালো। আর খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে এমন উপকরণে তৈরি তেল ব্যবহার করতে হবে। এ ধরনের তেল মাথার ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং খুশকি প্রতিরোধ করে।
লিখেছেন : সাদিয়া সারা
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ