হেয়ার স্ট্রেইট তো অনেকভাবেই করা যায়। আর কী কী উপায়ে হেয়ার স্ট্রেইট করা যায় বা এজন্য কোন কোন হেয়ার ট্রিটমেন্ট প্রযোজ্য তা জেনে রাখা উচিত। পদ্ধতিগুলো ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
হেয়ার স্ট্রেইট কী
সাধারণত চুলের প্রাকৃতিক বন্ডকে ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে ভেঙে হেয়ার স্ট্রেইট করানো হয়। বিদেশে একে পার্মানেন্টে স্ট্রেইট বলা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হেয়ার স্ট্রেইটকে সবাই রিবন্ডিং নামেই চেনেন। দেশি স্যালন বা পারলারগুলোতে সাধারণত চুলের লম্বা এবং ঘনত্বের ওপর ভিত্তি করে নানানরকম হেয়ার স্ট্রেইট করানো হয়।এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
চুলের প্রাকৃতিক বন্ডকে ভেঙে যেহেতু হেয়ার স্ট্রেইট করা হয় তাই এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা ঝুঁকি রয়েছে। কিছু পরামর্শ, যত্ন এবং পদ্ধতি সম্পর্কে জানলে এটা তেমন কোনো সমস্যাই নয়। আমাদের স্যালন বা পারলারগুলো যে পার্মানেন্ট ব্লো ড্রাই করে থাকে তাকে ব্রাজিলিয়ান ব্লো আউট বলে থাকে। এই পদ্ধতিতেও হেয়ার স্ট্রেইট রাখা যায়। এটা সাধারণত ন্যাচারাল স্ট্রেইট লুক দেয়।
কেরাটিন ট্রিটমেন্ট নামে একটা ট্রিটমেন্ট আমাদের দেশে সদ্য প্রচলিত রয়েছে। এতে ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তাই তো বিশেষজ্ঞরা এ পদ্ধতিকে আমাদের দেশে প্রায় নিষিদ্ধ করেছেন। তবে কেমিক্যাল ছাড়া কেরাটিন প্রোটিনসমৃৃদ্ধ হেয়ার প্যাক, শ্যাম্পু, কন্ডিশনার এবং সেরাম ইত্যাদি ব্যবহার করে হেয়ার স্ট্রেইট করা যায়।
হেয়ার স্ট্রেইটের জন্য প্রফেশনাল শ্যাম্পু পাওয়া যায়। নিয়মিত এই শ্যাম্পু বাড়িতে ব্যবহার করে ড্রায়ার দিয়ে ড্রাই করলেও স্ট্রেইট লুক থাকে। তাছাড়া প্রফেশনাল পারলার বা বিউটি ক্লিনিকগুলোতে স্মুদি ট্রিটমেন্ট, প্রো কেরাটিন ট্রিটমেন্ট, এক্সটেনফো কেয়ার এবং রিবন্ডিং স্পা ইত্যাদি নামে হেয়ার স্ট্রেইট রাখার বেশ কিছু ট্রিটমেন্ট পেয়ে যাবেন।
ডিম ও অলিভ অয়েলের মিশ্রণ চুলকে করে সিল্কি ও ময়েশ্চারার। পাশাপাশি মিশ্রণটি চুলকে স্ট্রেইট করতে সাহায্য করে। ২টা ডিম ও ৪ চা চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে মাথায় ভালো করে লাগান। এবার বড় দাঁড়ার চিরুনি দিয়ে আঁচড়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। চুল স্ট্রেইট হবে।
লেখা : শোভন সাহা (কসমোলজিস্ট)
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ