বৈশাখের শেষ দিকে দেশে তীব্র দাবদাহ দেখা দিয়েছে। এই সময়ে মানুষ ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ে। সামান্য অনিয়ম হলেই শরীরে পানিশূন্যতা থেকে ডায়রিয়াসহ হিটস্ট্রোকের মতো জটিল সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময়ে খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
গরমের এই সময়ে ডায়েটে বেশ কিছু খাবার যোগ করলে শরীর থাকে সুস্থ। তেমনই একটি খাবার লাউয়ের রস। টানা ১৫ দিন লাউয়ের রস খেলে দারুণ ফল পাওয়া যায় বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদরা।
কিভাবে তৈরি করবেন-
লাউয়ের রস তৈরি করার জন্য ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম লাউ, ৬-৭ টা পুদিনা পাতা, স্বাদমতো লেবুর রস ও ১ চামচ জিরা গুঁড়া, সামান্য গোলমরিচ নিন। প্রথমে লাউয়ের খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরা করে নিন। এবার ব্লেন্ডারে এই লাউয়ের টুকরার সঙ্গে পুদিনা পাতা দিয়ে রস করে নিন। এবার তাতে পরিমাণ মতো লেবুর রস আর জিরা গুঁড়া ও গোলমরিচ মেশান।
পুষ্টিতে ভরপুর লাউয়ে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম, ফসফরাস, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৩, ভিটামিন বি২, ভিটামিন বি৯, ভিটামিন বি৬। আর কী উপকার করে লাউয়ের রস। জেনে নিন-
১। হার্টের সমস্যার একটি বড় কারণ খারাপ কোলেস্টেরল। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, লাউয়ের রস এই খারাপ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে। মূলত এই পানীয়ে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু ফাইটো কেমিক্যাল। আর এসব উপাদান কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সিদ্ধহস্ত।
২। লাউয়ে প্রায় ৯৬ শতাংশ পানি থাকে। এটি গ্রীষ্মকালে শরীরকে পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা করে। লাউ শরীরকে ভেতর থেকে ঠাণ্ডা রাখে। গ্রীষ্মের দাবদাহে নিয়মিত লাউ খেলে উপকার পাবেন। লাউয়ের রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।
৩। ব্লাড সুগার বেড়ে গেলে প্রথমেই লাউয়ের রসের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিন। এই পানীয়তে একাধিক উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। এগুলো ব্লাড সুগারকে নিয়ন্ত্রণে রাখার কাজে একাই একশ।
৪। ফাইবার ছাড়াও লাউয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম ও আয়রন রয়েছে। এসব উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। বিশেষত প্রতিদিন খালি পেটে এটি পান করলে দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।
৫। লাউয়ে কোলিন নামক একটি যৌগ রয়েছে, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। লাউয়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ও হাইড্রেটিং বৈশিষ্ট্য ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ