নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই, আমাদের অস্তিত্বের জন্য। আমি কারো অন্ধ সমর্থক নই। কাজ করে যারা আমি তাদের পক্ষে বলি। আমার নিজ জেলা নোয়াখালীর স্বার্থে, রাজনীতির স্বার্থে আমার ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও একরামুল করিম চৌধুরী এমপিকে ক্ষমা করে দিয়েছি। নোয়াখালীতে আমি কোনো কলহ রাখতে চাই না। আমি কলহমুক্ত আওয়ামী লীগ চাই।
সোমবার দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই ডিসেম্বরে খেলা হবে। আগামী নির্বাচনে খেলা হবে। আন্দোলনে খেলা হবে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে খেলা হবে। টাকা চুরির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে খেলা হবে। হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, খেলা হবে স্লোগান মির্জা ফখরুলের পছন্দ নয়। আরো কারো কারো পছন্দ নয়। কিন্তু যে স্লোগান জনগণ পছন্দ করে, সেই স্লোগান আমি দিয়েই যাব।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপি নাকি রাজপথ ও ঢাকা দখল করবে। ফখরুল সাহেব আমি বলতে চাই আমাদের নেতাকর্মীরা মহানগর জেলা, উপজেলা, ওয়ার্ড, পাড়া মহল্লায় পাহারায় থাকবে। বিএনপি বিআরটিসির বাস পুড়িয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-সিলেট সড়কে শেখ হাসিনার ভিত্তিপ্রস্তর রাতের অন্ধকারে পুড়িয়েছে। তারা আগুন, লাঠি নিয়ে আসবে, এজন্য তারা পার্টি অফিসে সমাবেশ করতে চায়। বিশাল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে ফখরুল বলেন খাঁচা।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্লোগান যদি দিতে হয়, তাহলে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে স্লোগান দিন। আজকের সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধ লড়াই করে উন্নয়নের সড়ক বেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলছে।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সম্মেলনের উদ্বোধক ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি না আসায় ওবায়দুল কাদের সম্মেলন উদ্বোধন করেন। সম্মেলন সঞ্চালনা করেন নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শহিদ উল্যাহ খান সোহেল।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, স্থানীয় সংসদ সদস্য এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, মোরশেদ আলম এমপি, মামুনুর রশিদ কিরণ এমপি, আয়েশা আলী এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি খায়রুল আলম সেলিম, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শিহাব উদ্দিন শাহীন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম সামছুদ্দিন জেহানসহ জেলা উপজেলার নেতারা বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এএইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিমকে সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে কারো নাম ঘোষণা করেননি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই
-24-04-2024.jpg?v=1714035564)
