আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান থেমে থাকেনি।’
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরামর্শে সিনেমা শিল্পী-কলাকুশলীদের উৎসাহ দিতে এবং এই শিল্পের বিকাশ অব্যাহত রাখতে করোনার সময়ে, এমনকি ২০২০ সালে মাত্র ২৫-২৬টি চলচ্চিত্র নির্মিত হলেও জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে ২০২১ সালে নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে জুরি বোর্ড নির্বাচিত ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩৪টি পুরস্কার বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন।
ড. হাছান তার বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান শুধু স্বাধীন রাষ্ট্রই প্রতিষ্ঠা করেননি, বাঙালি শিল্প-সংস্কৃতি বিকাশেও তিনি ছিলেন সদানিবেদিত প্রাণ। বঙ্গবন্ধু ১৯৫৭ সালে প্রাদেশিক পরিষদে বিল উত্থাপনের মাধ্যমে ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করে এ দেশে সিনেমার প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। সেই চলচ্চিত্র আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে এবং পরবর্তীতে দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন, সিনেপ্লেক্স, সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে এক হাজার কোটি টাকার সহজতম ঋণ তহবিল গঠন করেছেন। আমাদের সিনেমা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্বে অনেক পুরস্কার অর্জন করেছে। আমাদের মেধাবীরা সিনেমা শিল্পকে আরও এগিয়ে নেবেন এটিই জাতির প্রত্যাশা।’
দেশের উন্নয়নচিত্র তুলে ধরতে গিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে আমরা বিশ্বে ৬০তম জিডিপির দেশ ছিলাম। গত ১৪ বছরে ২৫টি দেশ পেছনে ফেলে আমরা এখন ৩৫তম এবং পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটিতে ৩১তম। পাকিস্তান এখন আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে, তাদের পার্লামেন্টে শেখ হাসিনার প্রশংসা হয়। এটিই বঙ্গবন্ধুর দেশ রচনার সার্থকতা, বঙ্গবন্ধুকন্যার দেশ পরিচালনার সার্থকতা।’
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের এ বার্ষিক আয়োজনে মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার স্বাগত বক্তব্য দেন। শেষে চলচ্চিত্র অঙ্গনের শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ ও ‘নোনাজলের কাব্য’ যুগ্ম শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, মো. সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদ যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা এবং আজমেরী হক বাঁধন ও তাসনোভা তামান্না যৌথভাবে ২০২১ সালের শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ