উপদেষ্টাদের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, দয়া করে যে বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে তাকে ধারণ করুন। নির্বাচনের দিন প্রধান কমিশনার ঘুমায়, সেই কমিশন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিলুপ্ত করুন। নাইলে গণতন্ত্র আসবে কীভাবে? সাধারণ জনগণের অধিকার যেন আর কেউ ক্ষুন্ন করতে না পারে সেজন্য দেশের সকল মানুষকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
মঙ্গলবার ফেনীতে জাতীয়তাবাদী প্রচার দল আয়োজিত দিনব্যাপী বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শেষে শহরের মিজান রোডে সালাম কমিউনিটি সেন্টারে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অর্ন্তবতী সরকারকে অস্থির করার জন্য, দেশকে অস্থির করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে তা করা হচ্ছে বলে দেশবাসী মনে করে। দেশে আজকে একটি পরিবর্তিত অবস্থা হয়েছে। যে সচিবরা স্বৈরশাসকের দোসর হিসেবে কাজ করেছে সে সচিবরাতো এখনও বহাল রয়েছে। তারাতো আওয়ামী লীগের দোসর, তারা শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনতে বার বার ষড়যন্ত্র করবেই।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চোখ-কান খোলা রাখতে হবে। এই ফ্যাসিস্ট বিতাড়িত হওয়ার পরে শেখ হাসিনার সহযোগী ও তার ষড়যন্ত্রের সাথে যারা জড়িত ছিল তারা বসে নেই। বাংলাদেশ এবং বিএনপিকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না, সুতরাং আমাদের জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধভাবে যে আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টি হয়েছে, সকলে মিলে সেটা প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
প্রচার দলের সভাপতি মাহফুজ কবির মুক্তার সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও ফেনী-১ সংসদীয় আসনের সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আ ন ম সাইফুল ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেব, শেখ ফরিদ বাহার আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, প্রচার দলের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আলামিন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালমা আকতার স্বপ্না আহমেদ, ওয়াকিদুজ্জামান ডাবলু, প্রফেসর আসাদুজ্জামান আকাশ, জহির হোসেন জয়, রুবেল নিলয়, মো. রুহুল আমিন প্রমুখ।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত