নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ট্রানজিশন ফ্রম ফ্যাসিজম টু ডেমোক্রেসি যখন বলি— তখন একটা রোডম্যাপ দিতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কেউই কোনো রোডম্যাপের কথা বলছেন না। যথাযথ সংস্কার করে নির্বাচন দেওয়া প্রয়োজন। ঠিকমতো কাজ করলে এক বছরের মধ্যেই নির্বাচন দেওয়া সম্ভব।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে রাষ্ট্র ভাবনা ও কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ আয়োজিত ‘গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার ও নির্বাচনের পথ নকশা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মানুষের চেতনার যে উন্মেষ আমরা দেখেছি, তা অভূতপূর্ব। তবে সেই অভ্যুত্থান থেকে সৃষ্ট প্রত্যাশাগুলো পূরণে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। সংস্কারের এখন কী পরিস্থিতি? চারমাস একদিনে সংস্কার কতটুকু এগিয়েছে? আমি দেখি না। সংস্কার মানে গুণগত রূপান্তর। সামনে যে সময় আছে, তাতে কতটুকু করবেন?
বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, গণঅভ্যুত্থানকে ভাগ করার কিছু নেই। ছাত্ররা করেছে না রাজনৈতিক দল করেছে, ইসলামিস্টরা করেছে না বামরা করেছে... সবাই মিলে করেছে বলেই এটা গণঅভ্যুত্থান। এই অভ্যুত্থানের স্পিরিট সফল করতে হলে আরও অনেক দূর যেতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও রাষ্ট্রভাবনার প্রধান সমন্বয়ক গোলাম সারোয়ার মিলন বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরেও আমাদের রাষ্ট্র নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ এবং চব্বিশের অভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে আমাদের আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হবে। যারা দেশের এই অবস্থার জন্য দোষী, তাদের দ্রুত বিচার করতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারগুলোর ক্ষেত্রে জানুয়ারির মধ্যে একমত হতে হবে।
এ সময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশের আহ্বায়ক মো. আসাদুজ্জামান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
বিডি প্রতিদিন/কেএ