যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে পতাকা হাতে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে অবস্থান নিয়েছেন দলটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে খালেদা জিয়াকে বহন করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের। খালেদা জিয়ার দুই পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি তার সঙ্গে রয়েছেন।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকেই বিমানবন্দরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই নেতাকর্মীরা বাইরের সড়কে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জানা গেছে, বিমানবন্দরে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা। এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে গুলশান পর্যন্ত পুরো পথে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরাও খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। তবে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নেতাকর্মীদের সড়কে ভিড় না করে ফুটপাতে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। একইসঙ্গে কেউ যাতে সড়কে নামতে না পারে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ারও অনুরোধ করেছেন তিনি।
এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার দেশে ফেরাকে কেন্দ্র করে জনদুর্ভোগ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার (০৬ মে) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি অবস্থান করছে বিমানবন্দর থেকে লা মেরিডিয়েন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ছাত্রদল অবস্থান করছে লা মেরিডিয়েন হোটেল থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত এলাকায়। যুবদল অবস্থান করছে খিলক্ষেত থেকে হোটেল রেডিসন পর্যন্ত এলাকায়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি অবস্থান করছে হোটেল রেডিসন থেকে আর্মি স্টেডিয়াম পর্যন্ত এলাকায়। স্বেচ্ছাসেবক দল অবস্থান করছে আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী কবরস্থান পর্যন্ত এলাকায়। কৃষক দল অবস্থান করছে বনানী কবরস্থান থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত এলাকায়। শ্রমিক দল অবস্থান করছে কাকলী মোড় থেকে বনানীর শেরাটন হোটেল পর্যন্ত এলাকায়। ওলামা দল, তাঁতী দল, জাসাস, মৎস্যজীবী দল অবস্থান করছে শেরাটন হোটেল থেকে বনানী কাঁচাবাজার পর্যন্ত এলাকায়। পেশাজীবী সংগঠনগুলো অবস্থান করছে বনানী কাঁচাবাজার থেকে গুলশান-২ পর্যন্ত এলাকায়। মহিলা দল অবস্থান করছে গুলশান-২ নম্বর গোলচত্বর থেকে গুলশান অ্যাভিনিউ রোড পর্যন্ত এলাকায়।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন