সম্প্রতি একটি ১০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো উদ্ভিদের ফসিল আবিষ্কার করেছেন অরিগন স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা । আর এর মধ্যে পাওয়া গেছে ১৮টি ফুল।
তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে এর মধ্যে এমন আছে কিছু ফুল যা পুনর্জনন প্রক্রিয়ায় ফসিল হিসেবে গড়ে উঠেছে। ফলে আবিষ্কার হয়েছে ফুলের সবচেয়ে স্পষ্ট পুনর্জনন প্রক্রিয়া। একটি অ্যাম্বার ফসিলে এই উদ্ভিদ ও ফুল গুলো পাওয়া যায়।
আবিষ্কারটি সম্পর্কে বোটানিক্যাল ইন্সিটিউট অফ টেক্সাসের জার্নাল বিভাগে প্রকাশ করা হয়।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, উদ্ভিদটি মধ্য ক্রেটাসিওস যুগের। আর এটা নতুন গোত্র এবং প্রজাতির অংশ হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে মাইক্রোপেটসস বারমেনসিস হিসেবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, এই উদ্ভিদটি মায়ানমারের এক খনিতে পাওয়া যায়। তবে সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো, ১০০ মিলিয়ন বছরের পুরনো হলেও ফুলগুলো অনেক ভালো অবস্থায় রয়েছে। ফসিলটিতে মোট ১৮টি ফুল পাওয়া যায় যার মধ্যে ১০টি পরীক্ষণ করা যাচ্ছে। অন্য ফুলগুলো পরীক্ষনের অবস্থায় আছে নাকি নেই সে সম্পর্কে তেমন কিছু জানা যায়নি। আর বিজ্ঞানীদের মতে তারা যে পুনর্জনন অবস্থা প্রত্যক্ষ করেছে তার সাথে বর্তমানে যে সকল ফুল পাওয়া যায় তার পুনর্জনন প্রক্রিয়ার কোনো পার্থক্য নেই। অর্থাৎ প্রায় ১০০ বছরের পুরনো প্রক্রিয়ায় ফুলগুলো এখনও পুনর্জনন করে থাকে। এটাই প্রথম মধ্য-ক্রেটাসিওস কালের ফুল যাতে কিনা দুটি পোলেন কনা থেকে উদ্ভূত পোলেনের টিউবটি স্টিগমাটে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
এর ফলে বিজ্ঞানীরা আরও ভালভাবে ক্রেটাসিওস কালের জীববৈচিত্র সম্পর্কে বুঝতে পারছেন। আর ১০০ বছরের পুরনো হওয়া সত্তেও ফুলগুলো অনেক ভালো অবস্থায় ছিল, ফলে একে সম্পূর্ণভাবে প্রাপ্ত প্রাচীন ফুলগুলোর মধ্যে অন্যতম বিবেচনা করা হচ্ছে।