পাকিস্তানে গৃহভৃত্য বা পরিচারিকারা মিলে সে দেশে তাদের প্রথম ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে তুলেছেন। রাজধানী ইসলামাবাদে তাদের এই শ্রমিক সংগঠনে ইতোমধ্যেই সদস্য হয়েছেন প্রায় ২২৫জন, সংখ্যাটা আরও বাড়ছে।
পাকিস্তানের প্রায় প্রতিটি মধ্যবিত্ত ও উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারেই এক বা একাধিক গৃহপরিচারিকা রাখাটা রেওয়াজ। বাসন মাজা, ঘর ঝাড়ামোছা থেকে নানা ফাইফরমাশ তাদের রোজ খাটতে হয় – কিন্তু প্রায় কোনও ক্ষেত্রেই মালিকের সঙ্গে তাদের কাজের কোনও চুক্তি বা কন্ট্রাক্ট থাকে না। এর ফলে তাদের নিয়মিতই নানা শোষণ ও অবিচারের শিকার হতে হয়।
মুনাজাই ইশহাক নামে এক গৃহপরিচারিকা বলছিলেন, মালিক তাকে মিথ্যে চুরির অপবাদ দিয়ে থানায় দিয়েছে – ইচ্ছে করে মাইনে আটকে রেখেছে, কিন্তু তিনি কিছুই করতে পারেননি। কিন্তু পাকিস্তানে আনুমানিক প্রায় ৮৫ লক্ষ গৃহপরিচারিকার ভাগ্য এবার কিছুটা হলেও বদলাতে পারে – কারণ জাতিসংঘের সমর্থনে সে দেশে অবশেষে এই অসংগঠিত খাতের জন্য গড়ে উঠেছে একটি ট্রেড ইউনিয়ন।
মুনাজাই ইশহাক নিজেও তার সদস্য হয়েছেন এবং আশা করছেন তাদের জীবনে এবার বোধহয় একটা পরিবর্তন আসবে।
বাড়ির মালিকরা যে পরিচারিকা বা ভৃত্যদের সঙ্গে ঠিকমতো ব্যবহার পর্যন্ত করেন না, বেশি খাটিয়ে নিয়ে পয়সা পর্যন্ত দেন না – ইউনিয়ন চালু হলে সেগুলো অন্তত বন্ধ হবে বলে মুনাজাইয়ের আশা। তা ছাড়া তাদের ছেলেমেয়েরাও হয়তো পড়াশুনোর সুযোগ পাবে, যেটা এই পরিচারিকাদের অনেকেই সারা জীবনে কখনও পাননি।
নতুন এই ইউনিয়ন বাড়ির মালিক ও গৃহ-পরিচারিকাদের মধ্যে একটি লিখিত কন্ট্রাক্ট বা চুক্তি চালু করার ওপর জোর দিচ্ছে, যেটা দুপক্ষই স্বেচ্ছায় সই করবেন। বিবিসি বাংলা।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ এপ্রিল, ২০১৫/ রশিদা