বাবা আমাকে টানা ছ'বছর ধরে ধর্ষণ করেছে..." ভরা আদালতে দাঁড়িয়ে মেয়েটা এই কথা বলল। শুধু এই টুকুই নয়, মেয়েটি সবিস্তারে বর্ণনা করল ঠিক কেমন করে বাবা তার সঙ্গে 'জবরদস্তি যৌনতায়' মেতে উঠত। কিন্তু মেয়েটির এই অভিযোগ এবং তার শরীরী ভাষা আগাগোড়াই সন্দেহজনক ঠেকেছিল মেয়েটির বাবার আইনজীবী ক্যাথি ম্যাককুলোচের। তারপর ক্যাথি তার মক্কেল অর্থাৎ অভিযোগকারিণীর বাবার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানতে পারেন যে তাঁর মেয়ের পছন্দের উপন্যাস ই এল জেমসের 'ফিফটি শেডস্ অফ গ্রে'। আর এই পছন্দের উপন্যাসের সূত্র ধরেই বেরিয়ে গেল যে মেয়েটা আসলে বাবার নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। কিন্তু কেন?
আইনজীবী ক্যাথির খটকা লাগাতে, সেদিনই তিনি 'ফিফটি শেডস্ অফ গ্রে' পড়ে ফেলেন রাত জেগে। আর তাতেই বুঝতে পারেন, ওই উপন্যাসের ১৭টি অংশ বা ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিলে যাচ্ছে এই মেয়েটির অভিযোগ। ব্যাস ওমনি সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যায় ক্যাথির কাছে। পরদিনই আদালতে এই মেয়েটিকে জেরা করতে শুরু করেন নারী আইনজীবী ক্যথি। এক পর্যায়ে জেরার সামনে ভেঙে পড়ে সেই মেয়ে এবং স্বীকার করে নেয় যে তার বাবার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। সে এই অভিযোগ এনেছে কারণ, তার বাবা অত্যন্ত কড়া ধাঁচের মানুষ, খুব শাসন করতেন তাকে। তাই তাকে উচিত শিক্ষা দিতেই সে এই ছক তৈরি করে। আদালত সব শোনার পর তৎক্ষণাৎ ওই ব্যক্তিকে সসম্মানে মুক্তি দেয়।
গোটা ঘটনাটা ব্রিটেনের আইনজীবী ক্যাথি ম্যাককুলোচ তার ব্লগে লিখেছেন। তবে মেয়েটি ও তার বাবার সম্মানের কথা মাথায় রেখেই তাদের নাম লেখেননি। সূত্র: জি নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/২০ আগস্ট, ২০১৬/মাহবুব