শরীরটা এমনিতেই একটু ভারি। তার ওপর হঠাৎ করে নয়-দশ মাসের মধ্যে ৬৫ কেজি থেকে ওজন বেড়ে যখন ১২৫ কেজি হয়ে গেল! তখন মার্সিডিজের মনে হলো, এবার সত্যিই ওজন কমানোর দিকে নজর দিতে হবে। তত দিনে ভারি চেহারার জন্য নড়াচড়া করার ক্ষমতাও প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। ডাক্তারদের কাছে গেলেন তিনি।
ডাক্তাররা এক নজর দেখেই বুঝে গেলেন, মার্সিডিজের শারীরিক ওজনের বেশিরভাগটাই জমে রয়েছে তার পেটে। মার্সিডিজের পেটের আকার তত দিনে পর্বতপ্রমাণ হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরেই ডাক্তাররা তার অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু তখনও তাদের জানা ছিল না, মহিলার পেটে কী বাসা বেঁধে রয়েছে!
অপারেশনের সময়ে পেট কেটে দেখা যায়, মার্সিডিজের ডিম্বাশয়ে একটি টিউমার হয়েছে। কিন্তু সে যেমন-তেমন টিউমার নয়। রোগিনীর পেট থেকে সেই টিউমার বের করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় ডাক্তারদের। কয়েক জন ডাক্তার মিলে ধরাধরি করে মার্সিডিজের শরীর থেকে উদ্ধার করেন একটি বড়সড় পাথরের আকারের টিউমার, যার ওজন ৬০ কেজির কাছাকাছি। মেক্সিকোর কাবো সান লুকাস হাসপাতালের ডাক্তার মোইসে আরন নুনেজ জানান, পৃথিবীতেই এর চেয়ে বড় আকারের ওভারিয়ান টিউমারের কোন দৃষ্টান্ত নেই!
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, রোগিনীর সঙ্গে কথা বলে, এবং শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে অনুমান করা যাচ্ছে, বিগত পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে এই টিউমার বড় হচ্ছিল মার্সিডিজের শরীরে। ৫১ বছর বয়সি মার্সিডিজ কিছু টের পাননি? তিনি বলছেন, সে রকম কিছু পরিবর্তন অনুভব করেননি শরীরে। কিন্তু বিগত বছর খানেক ধরে লক্ষ করছিলেন, খাওয়াদাওয়ার অভ্যাসে কিছু বদল না এলেও ওজন বে়ড়ে যাচ্ছে অস্বাভাবিক রকমের। মেয়ে মারিয়াও মা-কে বলেন, শুধু তাঁর ওজনই বাড়ছে না, পাশাপাশি অসুস্থও দেখাচ্ছে তাঁকে। তখনই ডাক্তারের দ্বারস্থ হওয়ার সিদ্ধান্ত হন মারিয়া।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার