সাবেক মিস বুলগেরিয়া হিসেবেই বিখ্যাত ছিলেন। অনেকেরই চোখের মণি ছিলেন। কিন্তু বন্ধ দরজার ওপারে ঘটে যাওয়া এক ‘দুর্ঘটনায়’ রাতারাতি খলনায়িকা হয়ে গিয়েছেন অ্যানিটা মেজার।
অ্যানিটার বয়স এখন ৫২। বছর তিনেক আগে মৃত্যুর সময় স্বামী নিকোলাই দিমোভের বয়স ছিল ৪০। ২০১৪ সালে বাড়ির বেডরুম থেকেই অ্যানিটার স্বামীর দেহ উদ্ধার হয়।
বুলগেরিয়ার সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শারীরিক মিলনের সময়ে অ্যানিটা এবং তার স্বামী বেশ কিছু বিচিত্র ভঙ্গিমা নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতেন। ঘটনার দিনও সেরকমই কিছু চেষ্টা করেছিলেন তারা।
অ্যানিটার অবশ্য দাবি, সেদিন স্বামী নিকোলাই তার হাত পা বেঁধে দিতে বলেন। এর পরে নিজের মাংসপেশি ফুলিয়ে সেই বাঁধন আলগা করার চেষ্টা করেন নিকোলাই। অ্যানিটার দাবি, গোটা পর্বটা ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখার জন্য বলেছিলেন তার স্বামী। কিন্তু আচমকাই গলার কাছে প্লাস্টিকের ফাঁস আটকে যায় নিকোলাইয়ের। এর ফলেই দমবন্ধ হয়ে তার স্বামীর মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন অ্যানিটা।
কিন্তু এমন ঘটনা ঘটার সময় তিনি কেন তার স্বামীকে বাঁচালেন না, সেই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি। অ্যানিটা প্রথমে দাবি করেন, ঘটনার সময় কিছুক্ষণের জন্য দোকানে গিয়েছিলেন তিনি। ঘরে এসে স্বামীকে পড়ে থাকতে দেখেন তিনি। কিন্তু পুলিশের অ্যানিটার কথা বিশ্বাস হয়নি। তাছাড়া অ্যানিটার ব্যাগ থেকে প্রচুর ডলার এবং পাসপোর্টও উদ্ধার হয়। যা দেখে পুলিশের সন্দেহ, দেশ ছেড়ে পালানোর মতলব ছিল প্রাক্তন মিস বুলগেরিয়ার।
অ্যানিটার বিরুদ্ধে তার স্বামীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে খুন করার অভিযোগ আনে পুলিশ। প্রাক্তন মিস বুলগেরিয়ার তিন বছরের কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছে সেদেশের আদালত।
অ্যানিটার দাবি, স্বামী নিকোলাইকেই তিনি সবথেকে বেশি ভালবাসতেন। যৌন মিলনের সময় বিভিন্ন ভঙ্গিমা, পরীক্ষা, নিরীক্ষার জন্য চাপ দিতেন তার স্বামী। আর সেটাই শেষ পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়াল। বিষয়টি আগেই নিকোলাইয়ের পরিবারকে জানানো উচিত ছিল বলে এখন আপসোস করছেন প্রাক্তন মিস বুলগেরিয়া।
বিডি প্রতিদিন/১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা