ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত গ্রেট হিমালয়ান ন্যাশনাল পার্ক। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই ন্যাশনাল পার্কটি ইউনেস্কো স্বীকৃত। ৭৫৪ স্কোয়ার কিলোমিটার বিস্তৃত এই পার্কটিতে হিমালয়ের কালো ও বাদামি রঙের ভাল্লুক, স্নো লেপার্ড-সহ প্রায় ৩১টি স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এছাড়া ৩০০ প্রজাতির পাখি, সাপ, ১০০-র বেশি প্রজাতির কীটপতঙ্গ রয়েছে এই জাতীয় উদ্যানে।
পার্কটির একমাত্র মানুষ হলেন ছেত্রী দেবী নামের ৮৩ বছরের এক বৃদ্ধা। পার্কের পাশে কাঠের তৈরি একটি ঘরে থাকেন তিনি। বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন, ঘড়ি, কিছুই নেই সেখানে। তার খুব একটা দরকারও হয় না। সভ্য জগতের সঙ্গে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন ও একাকী থেকে ওই নির্জন ও গভীর জঙ্গলে হিংস্র পশুদের সঙ্গেই জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছেন।
তার বাড়ির সামনে দিয়েই বাচ্চা-সহ কালো ভাল্লুক, লেপার্ড, বিষাক্ত সাপ চলাচল করে। তিনি কখনও তাদের শিকার করেননি। কখনও তাদের যাতায়াতের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াননি।
ছেত্রী দেবীর পরিবারের বাকি সদস্যরা জাতীয় উদ্যানের বাইরে থাকলেও, নিজে থাকেন এই নির্জন ও ভয়ংকর জঙ্গলে। স্বামী মারা গিয়েছে কয়েক দশক হয়ে গিয়েছে। স্বামীর হাতে তৈরি বাড়ি ও খামারবাড়ি ছেড়ে তিনি যেতে চাননি।
নিজেদের তৈরি করা বাগানে গম, বার্লি, আলু, ভুট্টা ও রাজমা চাষ করেন তিনি। সেখান থেকেই তিনবেলার খাবারের জোগান আসে। বন্য প্রাণীদের সংস্পর্শে ও পাহাড়ি প্রকৃতির মাঝে ভালোই আছেন তিনি।
বিডি প্রতিদিন/১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা