স্ত্রীকে হত্যার পর দেহাংশ কেটে প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করার দাবি করেছেন ভারতের এক সাবেক সেনা সদস্য। বর্তমানে ওই ব্যক্তি নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তেলাঙ্গানার হায়দারাবাদে।
পুলিশ জানিয়েছে, সেই সাবেক সেনাকর্মীর দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে ইতোমধ্যেই হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। জেরায় সেই ব্যক্তি জানিয়েছেন, স্ত্রীর সেদ্ধ করা দেহাংশ লেকের পানিতে ফেলে দেন তিনি।
জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ ছিলেন ওই নারী। তার পরিবারের সদস্যরা এ বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্ত শুরু হয়। পরে, জেরার মুখে নিজের স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে স্বামী।
পুলিশের দাবি, ‘ঝামেলা হওয়ায়’ স্ত্রীকে খুন করেছিল সেই ব্যক্তি। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৫ জানুয়ারি নিজের স্ত্রীকে খুন করে ওই ব্যক্তি। নিহত নারীর নাম পুত্তাবেঙ্কট মাধবী। তার স্বামীর নাম গুরুমূর্তি।
এর আগে স্ত্রীর নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে গুরুমূর্তি দাবি করেছিলেন, ঝগড়ার কারণে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যান। পরে থানায় স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে গুরুমূর্তি। তিনি জানান, দেখে যাতে বোঝা না যায়, সেজন্য স্ত্রীর হাড় হামানদিস্তায় গুঁড়ো করেছিলেন তিনি। এরপর মীরপেট লেকে সেই দেহাংশ ফেলে আসেন গুরুমূর্তি।
এদিকে গুরুমূর্তির বয়ান অনুযায়ী মীরপেট লেকের আশেপাশে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ডগ স্কোয়াডও নামানো হয়েছে। তবে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মাধবীর দেহাংশের খোঁজ পায়নি পুলিশ। পুলিশ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। গভীর তদন্ত চালিয়ে ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
বিডি প্রতিদিন/একেএ