গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার ব্যবসায়ী শিপন কাজীকে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলার বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। আজ ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম সাজেদুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচজন হলেন: লেলিন সিকদার, মো. মনির হোসেন, মো. স্বপন মোলা ওরফে ডালিম, মো. ওবায়দুল শেখ ওরফে ইবাদুল শেখ ও তপন কাজী ওরফে বাঘা।
এবিষয়ে ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকের জানান, রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তিন আসামিকে কারাগারে পঠিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া আসামি মনির ও স্বপন মোল্লা পলাতক রয়েছেন।
এর আগে এই মামলায় ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। তারআগে এই মামলাটি গত বছর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত করে পুলিশ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই রাতে আসামিরা মুকসুদপুরের শিপন কাজী ওরফে জুনুনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। শিপন কাজী মুকসুদপুরের মামার বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন। তিনি পল্লী উন্নয়ন সমিতির ব্যবসা করে পড়ালেখার খরচ চালানোর পাশাপাশি মায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন। এরই মধ্যে আসামি মনির, ওয়ায়দুল ও ডালিমকে নিহত শিপন ব্যবসাসংক্রান্ত কিছু টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা টাকা পরিশোধ না করে বাকি আসামিদের নিয়ে শিপনকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এ কারণে ২০০৬ সালের ৩০ জুলাই শিপনকে তার মামার বাড়ির নৌকা ঘাট থেকে আসামিরা ডেকে নিয়ে পরস্পর যোগসাজসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে শিপনকে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে স্থানীয় নওখণ্ডা জলির খালে লাশ ডুবিয়ে দেয়। পরদিন শিপনের লাশ ভেসে ওঠে। এঘটনায় শিপনের মা মরিয়ম বেগম ওইদিনই মুকসুদপুর থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।