লালমনিরহাটের তিস্তা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা ব্যারাজে বিপদ সীমার ২০ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ আকস্মিক বন্যায় পাটগ্রাম উপজেলার দুটি গ্রাম হাতীবান্ধা উপজেলার ভাটিতে ১০টি গ্রাম; কালিগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্রাম; আদিতমারী উপজেলার দুটি গ্রাম ও সদর উপজেলার তিনটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, উজানে ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট শুক্রবার থেকে খুলে দেয়ার কারণে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার তিস্তা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পায়। এতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম,আঙ্গরপোতা,হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, চর ধুবনী, মধ্য ধুবনী, সিন্দুর্না, চর সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, কিসামত নোহালী, পশ্চিম হলদিবাড়ী , উত্তর হলদিবাড়ী, দক্ষিণ ডাউয়াবাড়ী .কালিগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, গড্ডিমারী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, মহিষখোঁচা, সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ ও কালমাটিসহ ২২টি গ্রাম প্লাবিত এবং প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে । বির্স্তীন ফসলি জমি তলিয়ে গেছে পানিতে। বিশেষ করে আমন ধানের বীজতলা ও আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বন্যার্ত মানুষজন রাস্তায় খোলা আকাশে রাত্রিযাপন করছে। দেখা দিয়েছে তীব্র খাবার ও পানির সংকট। তাছাড়াও ঘরবাড়ী পানিতে তলিয়ে থাকার কারণে রান্না করতে না পেরে অনেকে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। বিশেষ করে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ জন। এদিকে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য এখনো কোনো ত্রাণ সামগ্রী পোঁছেনি।