কমিটি গঠনের জন্য বৈঠক ডেকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের তোপের মুখে পড়লেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন আহমেদ। আজ রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকার ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মতিঝিলের ৭৪ দিলকুশায় তার অফিস (দেশ জনতা) ভাঙচুরও করে। এ সময় মোহাম্মদপুর, আদাবর এলাকা থেকে বিগত জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নপ্রাপ্ত যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভার কালাম মারপিটের শিকার হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহানগর বিএনপির মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় ওয়ার্ড বিএনপির কমিটি গঠনের দায়িত্ব পেয়ে সালাউদ্দিন ১৭ আগস্ট রবিবার মতিঝিল দিলকুশায় একটি বৈঠক আহ্বান করেন। কিন্তু সেখানে আসা বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন, বৈঠকের জন্য মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকার বিএনপির সর্বস্তরের নেতাদের চিঠি বিলি না করে শুধুমাত্র মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের অনুসারী কয়েকজনের হাতে চিঠি বিলি করা হয়।
এ সব নেতাদের অভিযোগ, একতরফা চিঠি বিলির কাজটি করেন আলালের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভার কালাম।
এদিকে কমিটি গঠনের খবর শুনে চিঠি না পেয়েও বিএনপির সাবেক ওয়ার্ড কমিটির নেতারা বৈঠক স্থলে উপস্থিত হন। সকাল ১১টার দিকে সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে মোয়াজ্জেম হোসেন আলালও উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের শুরুতেই চিঠি বিতরণে লুকোচুরির প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ বিএনপির নেতাকর্মীরা অফিস ভাঙচুর করে। অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার টেবিল ভাঙচুরের পাশাপাশি সালাউদ্দিনের নিজ অফিসেও ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। বিক্ষুব্ধরা জাহাঙ্গীর ও ড্রাইভারকে মারপিট করে বলেও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এক পর্যায়ে তাদের সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়।
অবস্থা বেগতিক দেখে সালাউদ্দিন আহমেদ দ্রুত বৈঠক বাতিল করে পরবর্তী সময়ে সবাইকে নিয়ে বৈঠক করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি সবাইকে শান্ত হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘চিঠি বিলিতে স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে, এটা আমি জানতাম না।’ আগামী ১৯ আগস্ট দলের কর্মসূচি পালনের পর কমিটি গঠনের জন্য বৈঠক ডাকার কথা বলে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন। আলালও বৈঠক ছেড়ে চলে যান। এ সময় বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা 'ধর ধর' বলে চিৎকার দিয়ে ওঠে।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদপুর আদাবর এলাকার সাবেক কমিশনার আতিকুল ইসলাম মতিন বলেন, ‘ত্যাগী নেতারা বৈঠকের চিঠি না পাওয়ায় সালাউদ্দিনের অফিসে বিক্ষোভ দেখায়। তাদের দাবি মোহাম্মদপুর এলাকার কমিটি গঠনের বৈঠক অন্য এলাকায় হবে কেন?’
তিনি আরও বলেন, ‘নেতাকর্মীদের দাবির মুখে বৈঠক বাতিল করা হয়।’