'ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও লাইক দেখেই বেশ কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হয় হিফজুর রহমানকে (২২)। তখনই তার জঙ্গী তৎপরতা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। এরপর তাকে আটক করতে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে পল্টনের কমরেড মণি সিং রোডের সুরমা টাওয়ারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত যুবক সিলেটের সরকারি তিব্বিয়া কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।'
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, দেশ-বিদেশে জিহাদির সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে হিফজুর রহমানের তৎপরতা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিটিটিইউ (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম) ইউনিটের নজরে আসে। ডিবি পুলিশ তাকে ধরতে দীর্ঘদিন অভিযান চালায়।
তিনি আরো জানান, জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করলেও সে মূলত জিহাদের জন্য ব্যক্তিগতভাবে একটি দল তৈরি করে জিহাদে উদ্ধুব্ধ করার চেষ্টা চালায়। সে ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের ফ্যান পেজ খুলেছে। এসব পেজে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস ও ছবি দেখে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে জড়িত সন্দেহে হিফজুরকে আটক করা হয়।
হিফজুর নিজেকে আইএসের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে প্রচারণা চালায়। পাশাপাশি সিরিয়া ও ইরাকের জিহাদে যারা অংশ নিতে চায় তাদের একত্রিত করার চেষ্টা করে। তবে আইএসের সঙ্গে সে সরাসরি জড়িত কিনা, তার কোনো তথ্য ডিবির কাছে নেই। তবে পার্শ¦বর্তী দেশগুলোর জঙ্গিদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪/আহমেদ