প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে মধ্যবর্তী নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। কেউ ভুল করে থাকলে ভুলের খেসারত তাকেই দিতে হবে। একই সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সরকারের কোনো আঁতাত হয়নি বলেও দৃঢ়তার সঙ্গে উল্লেখ করেন প্র্রধানমন্ত্রী।
গতকাল শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির দিশারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সম্মেলনে সবাইকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম এ মোমেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নে তার ব্যক্তিগত আগ্রহের কথা তিনি বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র নেতাদের সামনে তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, ৪০ বছর আগে বঙ্গবন্ধু পররাষ্ট্রনীতির ব্যাপারে যে নির্দেশনা দিয়ে গিয়েছিলেন, বাংলাদেশ এখনো তা মেনে চলছে।
জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সরকারের সঙ্গে জামায়াতের কোনো আঁতাত হয়নি। “আঁতাত হলে বিচার কী করে হয়।বিচার বিভাগ স্বাধীন। সাঈদীর ফাঁসির রায় তো আমি দিইনি, আদালত দিয়েছে। বিচারটা এত দিন পরে আওয়ামী লীগ করছে বলেই কী এসব প্রশ্ন উঠছে।”
দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো সংলাপ হবে কি না—এমন প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলের সংজ্ঞা জানতে চান। তিনি বলেন, দেশে এমন কী পরিস্থিতি বিরাজ করছে যে, সংলাপে বসার প্রয়োজন। নির্বাচন কে বানচাল করতে চেয়েছিল, তারা রাজনৈতিক ভুল করেছিল। ভুলের মাশুল তাদেরকেই দিতে হবে। এখন আলাপ করে তাদেরকে কি ক্ষমতায় আনতে হবে?
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ শান্তিতে আছে। তাদের আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। প্রবৃদ্ধি ছয় ভাগ অর্জিত হয়েছে। এ অবস্থায় মধ্যবর্তী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা বা ভাবনার কোনো কারণ দেখি না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শনিবারের বৈঠক প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে আসা নেতাদের সঙ্গে সাধারণত সৌজন্য বৈঠক হয়। গতকাল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু আলোচনা হলে তা পরে জানানো হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪/মাহবুব
