নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার চার্জশিট আজ আদালতে দাখিল করা হয়েছে। আজ বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নারায়ণগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর এ চার্জশিট জমা দেন। এ বিষয়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে পুলিশ সুপার এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও ২ নাম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল নজরুল ইসলামসহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ভেসে ওঠা ছয়জনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরদিন ১ মে আরো একজনের লাশ পাওয়া যায় নদীতে। অপহরণের পরপরই নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৪ নাম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সাত খুনের দুটি মামলায় এ পর্যন্ত র্যাবের ১৭ জন সদস্যসহ মোট ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক মোহাম্মদ সাঈদ, উপ-অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ র্যাবের ১৯ জন সদস্য রয়েছেন। বাকি ১১ জন মামলার প্রধান সন্দেহভাজন আসামি নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠ বা বেতনভুক্ত কর্মচারী। নূর হোসেন বর্তমানে কলকাতার একটি কারাগারে বন্দী।
এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে দুটি মামলা করা হয়। অভিযোগ আছে, নূর হোসেনের কাছ থেকে বিপুল অর্থ নিয়ে তার প্রতিপক্ষকে খুন করেছে র্যাব। নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এ মামলাটি তদন্ত করছে। জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মামুনুর রশিদ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
তদন্ত দুটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। এক ভাগে অপহরণ ও হত্যা। এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন র্যাবের ১১ জন সদস্য। আর দ্বিতীয় ভাগে ছিল লাশ গুমের চেষ্টা। এখানে র্যাবের আটজন জড়িত ছিলেন। এর বাইরে ১৭ জন মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে র্যাবের ১২ জন। বাকি পাঁচজন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাধারণ নাগরিক। তিন কর্মকর্তার মধ্যে এম এম রানা শুধু অপহরণের সময় ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন। বাকি দুজন পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে ছিলেন বলে স্বীকারোক্তিতে বলেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ ৮ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ