একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জামায়াত নেতা মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। ইতোমধ্যেই তার বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে তড়িঘড়ি করেই কামারুজ্জামানের দাফনের প্রস্তুতি শুরু করেছেন তার গ্রামের বাড়ি শেরপুরের স্বজনরা। সেখানকার কুমরি বাজিতখিলা এতিমখানা সংলগ্ন পৈতৃক জমিতে তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে। এর আগে শেরপুরের মাটিতে কামারুজ্জামানকে কবর না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।
কামারুজ্জামানের প্রতিষ্ঠিত এতিমখানা, মসজিদ ও কুমরি দাখিল মাদ্রাসার কাছে বাজিতখিলা গাজীরখামার রাস্তার পাশের জমিটি বুধবার বিকালে ট্রাকে করে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়। এতিমখানার ফাঁকা জায়গায় কবরের জন্য ইট ও বালু এনেও রাখা হয়। কামারুজ্জামানের ভাইসহ আত্মীয়-স্বজনরা সেখানে কবর প্রস্তুতির কাজের তদারক করছেন।
কামারুজ্জামানের বড় ভাই কফিল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তার ভাইয়ের শেষ ইচ্ছা এবং পরিবারের সদস্যদের সিদ্ধান্তেই এতিমখানার পাশের পৈতৃক জমিতে কবর দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমা না পেলে কামারুজ্জামানের ফাঁসির দণ্ড যদি কার্যকর হয়, তাহলে এখানেই তাকে দাফন করা হবে বলে জানান কফিল। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে কামারুজ্জামানের লাশ হস্তান্তর, জানাজার নামাজ ও কবর দেওয়ার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে ইতোমধ্যেই আবেদন করা হয়েছে। অন্যদিকে কবর না দেওয়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কফিল উদ্দিন বলেন, লাশ পরিবারের কাছে না দেওয়ার কোনো নজির পৃথিবীতে নেই। তারা বললেই তো আর হবে না।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৯ এপ্রিল, ২০১৫/ রোকেয়া।