শেরপুরের কলঙ্ক একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের লাশ যাতে শেরপুরের মাটিতে দাফন না করা হয় এই দাবীতে গত ৭ এপ্রিলই জেলা প্রশাসকের কাছে স্বারকলিপি দিয়েছিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ শেরপুর জেলা কমান্ড। জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও কামারুজ্জামানের স্ত্রীর বড় ভাই আবু সালেহ নূরল ইসলাম হিরু জানিয়েছেন, লাশ শেরপুরে দাফন করতে দেওয়া হবে না। এদিকে, শেরপুরে লাশ আনায় বাধা আসতে পারে এমন কথা মাথায় রেখে হেলিকপ্টারে কামারুজ্জামানের মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হবে বলে এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে। জেলা পুলিশ সুপার মেহেদুল করিম জানিয়েছেন, কোথায় কবর হবে বা হবে না তার সিদ্ধান্ত আমরা দেই না। তবে সরকারি আদেশ যে কোনো মূল্যে আমরা তামিল করব।
কামারুজ্জামানের পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, তার শেষ ইচ্ছামতোই জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে তার নিজ বাড়ি বাজিতখিলা এলাকার কুমড়িতে তার প্রতিষ্ঠিত এতিমখানায় এবং এতিমখানার পাশে সম্প্রতি ক্রয়কৃত উত্তর— পশ্চিম কোণে ধানক্ষেতের কোণায় তাকে কবরস্থ করা হবে। আজ শনিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কবরের নির্ধারিত স্থানের রোপিত ধানক্ষেতের ধানচারা কেটে ওই জায়গায় মাটি ভরাট করা হয়েছে। তবে আতংকে কোনো ধরনের মন্তব্য করছে না এলাকাবাসী। লোকজনও কমে গেছে পূর্বের তুলনায়।
অন্যদিকে, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.আমিনুল হক জানান, সোহাগপুরের বিধবা, সাক্ষীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ইতিমধ্যে সেখানে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাকীর হোসেন জানান, পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রত্যেক সাক্ষীর নিরাপত্তার জন্য ১ জন করে ট্যাগ অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে যারা প্রতি মুহূর্তেই তাদের প্রতি নজর রাখছেন। তবে এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে কোন ধরনের সরকারি নির্দেশনা পাননি বলে তিনি জানিয়েছেন।
আজ দুপুরের পর থেকেই কামার’জ্জামানের নিজ এলাকায় আইন শৃংখলা বাহিনীর কড়া তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ১১ এপ্রিল ২০১৫/শরীফ