সমরাস্ত্র আমদানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে উৎপাদন বাড়ানো এবং সম্ভব হলে অস্ত্র রফতানির উপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর চাহিদা মেটানোর জন্য বাংলাদেশ সমরাস্ত্র কারখানা ৭.৬২ মিলিমিটার অটো রাইফেল, বিভিন্ন ক্যালিবারের কার্তুজ এবং হ্যান্ড গ্রেনেড উৎপাদন করছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন বাহিনীর অস্ত্রশস্ত্রের আমদানিনির্ভরতা কমানোর উদ্যোগ নিতে আমি সমরাস্ত্র কারখানা কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি। সবকিছু আমদানি না, আমরা নিজেরা করব এবং যেটা উপযুক্ত হবে, যুক্তিসঙ্গত হবে, প্রয়োজনে আমরা রপ্তানিও করব। সেটা মাথায় রাখতে হবে।”
সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “সমুদ্রসীমা আমরা অর্জন করেছি এটা ঠিক। সমুদ্র আমাদের সম্পদ। এই সম্পদ সংরক্ষণ করতে হবে এবং সম্পদ আহরণের জন্য এখন থেকেই আমাদের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। তাছাড়া, বিশাল সমুদ্রসীমা, এটার নিরাপত্তা রক্ষা, এই বিশাল দায়িত্বও কিন্তু এখন আমাদের এসে গেছে।”
জাতিসংঘ মিশনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সুনাম অর্জনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “বিশ্বের সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ যাতে শীর্ষস্থান ধরে রাখতে পারে, সে বিষয়ে আমরা বিশেষভাবে সচেষ্ট রয়েছি।”
সশস্ত্র বাহিনীর জন্য শিক্ষা, অবকাঠামো, সমরাস্ত্রসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়ন ও সরকারের সহযোগিতার চিত্রও তিনি কর্মকর্তাদের সামনে তুলে ধরেন। সেইসঙ্গে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা যাতে ভবিষ্যতে নিজেদের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে পারেন, সেদিকে ‘বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়ার’ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আশাপ্রকাশ করে বলেন, বর্তমানের উন্নয়ন ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে।
বিডি-প্রতিদিন/২১ মে, ২০১৫/মাহবুব