ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময়ে প্রায় চার বছর আগে সম্পাদিত স্থল সীমান্ত চুক্তির প্রটোকলে অনুসমর্থন দিয়েছে বাংলাদেশের মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রটোকল অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে স্থল সীমানা নির্ধারণ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রটোকল (প্রটোকল টু দি এগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্যা গভর্নমেন্ট অব দি পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যন্ড দ্যা গর্ভমেন্ট অব দি পিপলস রিপাবলিক অব ইন্ডিয়া কনসার্নিং দা ডিমারকেশন অব দা ল্যান্ড বাউন্ডারি বিটুইন বাংলাদেশ এন্ড ইন্ডিয়া এন্ড রিলেটেড ম্যাটারস) অনুসমর্থনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
চুক্তি বাস্তবায়নে কতটুকু সময় প্রয়োজন হবে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'এর মাধ্যমে স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়ন করতে অনুমোদন প্রক্রিয়া শেষ হল। এখন শুধুমাত্র এটি বাস্তবায়নে দুই দেশের এজেন্সিগুলো কাজ করবে, যা কর্মকর্তা পর্যায়ে হবে। এর জন্য যতটুকু সময় লাগে।'
'এখন শুধুমাত্র ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরে বাংলাদেশের সাথে এক্সচেঞ্জ অব ইন্সট্রুমেন্ট হবে।'
ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নামে পরিচিত ১৯৭৪ সালের স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা সফরে এসে প্রটোকলে স্বাক্ষর করেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
এর আওতায় বাংলাদেশের ভেতরে ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতের সীমান্তে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময় এবং ছয় দশমিক এক কিলোমিটার অমীমাংসিত সীমানা চিহ্নিত হওয়ার কথা।
বাংলাদেশ ওই চুক্তিতে অনুসমর্থন দিলেও জমি হস্তান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় ভারতের সংবিধান সংশোধনের জন্য প্রটোকলে অনুসমর্থন আটকে ছিল।
৬ ও ৭ মে ভারতীয় রাজ্যসভা ও লোকসভায় স্থল সীমান্ত চুক্তির জন্য আনা সংবিধানের সংশোধনী বিল পাসের বাধা কাটে।
বিডি-প্রতিদিন/২৫ মে ২০১৫/ এস আহমেদ