চিকিৎসা নিতে এসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন এক নারী। ৯ জুলাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভুক্তভোগী এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ জানান। ওই দিনই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৬ জুলাই প্রচণ্ড জ্বর ও পেট ব্যথা নিয়ে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন ওই নারী। চিকিৎসক তাকে বুকের এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। ওই দিন বেলা তিনটার দিকে হাসপাতালের আয়ার সঙ্গে রেডিওলজি বিভাগের এক্স-রে কক্ষে যান তিনি। ওই সময় কক্ষে একজন শিক্ষানবিশ হেলথ টেকনোলজিস্ট দায়িত্ব পালন করছিলেন। এক্স-রে করানোর আগে আয়াকে বের করে দেন তিনি। এরপর ওই রোগীকে যৌনহয়রানি করেন।
যৌন হয়রানির বিষয়টি তদন্তে রেডিওলজি বিভাগের প্রধান সুবাস মজুমদারকে সভাপতি করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. খোরশেদা শিরীন সোমবার জানিয়েছেন, ওই নারীর সঙ্গে তারা কথা বলেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত টেকনোলজিস্টকে শনাক্ত করা হয়েছে। তার নাম নূর হোসেন। চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএইচটি) এই শিক্ষার্থী শিক্ষানবিশ টেকনোলজিস্ট হিসেবে হাসপাতালে প্রশিক্ষণ নিতে এসেছে। তিনি বলেন, যে-ই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাক, কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুঠোফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত শিক্ষানবিশ হেলথ টেকনোলজিস্ট নূর হোসেনের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সেদিনের ঘটনার বিষয়ে হাসপাতালের আয়া প্রিয়বালা জানান, তিনি এক্স-রে কক্ষ থেকে বের হতে না চাইলেও ওই ছেলেটি (নূর হোসেন) তাকে বের করে দেয়। দুই দিন পরে ওই নারী তার কাছে এবং নার্সদের কাছে জানতে চান, এখানে জামা খুলে এক্স-রে করা হয় কি না, তখন ঘটনাটি প্রকাশ পায়।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ওই দিন (৬ জুলাই) এক্স-রে কক্ষে যারা দায়িত্বে ছিলেন, নূর হোসেন ছাড়া তাদের সবাইকে ওই নারীর সামনে হাজির করে তদন্ত কমিটি। পরে প্রশিক্ষণার্থী নূর হোসেনকে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার পর থেকে সে আর হাসপাতালে আসছে না।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ জুলাই ২০১৫/ এস আহমেদ