সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ জীববৈচিত্র্য বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় অবশেষে বিশ্ব ঐতিহ্য এই বনের সব ধরনের সম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বনের এই সম্পদ আহরণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমনকি সুন্দরবনের নদ-নদী ও খাল পাড়ের 'হোগলা' আহরণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বুধবার রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বন ও পরিবেশ মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের দুবলারচরসহ বনহীন চরগুলোতে চলতি শুটকি মৌসুমে জেলে-বহরদাররা অস্থায়ী জেলে পল্লীতে অবস্থান করে বঙ্গোপসাগর থেকে আহরিত মাছ শুকাতে পারবে। তবে কোন অবস্থাতেই অস্থায়ী শুটকী পল্লীর জেলেদের সুন্দরবনের নদ-নদী ও খালে মাছ আহরণ করতে দেয়া হবে না। তাদের সুন্দরবনের মধ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, শুটকি মাছ আহরণ নিয়ে জেলেদের আতংকিত হওয়ার কোন কারণ নেই। তাদের বঙ্গোপসাগরে মাছ আহরণে কোন বাধা নেই। বন ও পরিবশ মন্ত্রনালয়ের বক্তব্য পরিষ্কার- এখন থেকে জেলেসহ কাউকেই কোন অবস্থাতেই সুন্দরবনের বনজ ও জলজ সম্পদ আহরণ করতে দেয়া হবে না। বনদস্যু, চোরা শিকারী ও কাঠ পাচারকারীদের কঠোর হাতে দমন করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা অব্যাহত রয়েছে।
সুন্দরবনের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ জাহাজের একের পর এক তলা ফেটে ডুবে যাওয়া, বণের মধ্যে খাল-নদীতে তেলসহ বর্জ্য ছড়িয়ে পড়া প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিঁনি বলেন, মেয়াদোত্তীর্ণ ওই সব নৌযান চলাচল বন্ধ করার দায়িত্ব আমার মন্ত্রণালয়ের নয়।
তাঁর মেয়াদকালে সুন্দরবন পরিচালনায় কার্যকর ভূমিকার বিষয়ে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এই বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কঠোরতাসহ ইকো-ট্যুরিজম (প্রতিবেশ পর্যটন) সহনীয় পর্যায়ে রাখতে বন মন্ত্রণালয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এখন দেখছেন, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা অতীতের থেকে ভালো অবস্থায় চলছে, সমন্বিতভাবে কাজ করলে সুন্দরবন নিয়ে আতংকিত হবার কোন কারণ নেই।
বিডি-প্রতিদিন/২৯ অক্টোবর ২০১৫/ এস আহমেদ