টিকফার (বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা কাঠামো) আগামী বৈঠকে বাংলাদেশ জিএসপি(জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রিফারেন্সেস) সুবিধা ফিরে পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। একইসঙ্গে ওই বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ হারানো জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারবে বলে মনে করছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্সিয়া স্টিফেনস ব্লুম বার্নিকাট।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে টিকফা বিষয়ক আলোচনা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী ও মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে টিকফা বিষয়ক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। ওই বৈঠকে কী কী বিষয় উত্থাপন করা যায় সে বিষয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টিকফা বৈঠকে জিএসপি নিয়ে প্রথম প্রশ্ন তোলা হবে। আর টিকফা বৈঠকেই জিএসপি ফিরে পাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি টিকফা মিটিংয়ে জিএসপি স্থগিত আদেশ প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া টিকফা বৈঠকে ট্রান্স প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) নিয়ে আলোচনা হবে। বাংলাদেশ যাতে টিপিপির অন্তর্ভুক্ত হয় সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে ধন্যবাদ জানাই, তাদের সমর্থনের কারণে আমরা মেধাস্বত্ব ছাড় সুবিধা পেয়েছি। তাদের সমর্থন না পেলে এটা হতো না। আর দশম ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন (ডাব্লিউটিও) সম্মেলনে রুলস অব অরিজিন শিথিল করা বিষয়ে আলোচনা হবে। পাশাপাশি সার্ভিস ওয়েভার পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হবে। আশা করি দুটি সুবিধাই আমরা পাব।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি বিশ্বাস করি, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়নি। শ্রমিকদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা না থাকার কারণে এটা বাতিল হয়েছে। এ সুবিধা কীভাবে ফিরে পাওয়া যায় সে বিষয়ে টিকফা বৈঠকে আলোচনা হবে। আমি মনে করি বাংলাদেশ টিকফা বৈঠকের মাধ্যমে হারানো জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে।
বিডি-প্রতিদিন/১০ নভেম্বর, ২০১৫/মাহবুব