বাংলাদেশের আইটি খাতে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান। বুধবার টোকিওতে জাপানের অভ্যন্তরীণ ও আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী শিমপেল মাতসুশিতা এবং বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মাতসুশিতার জাপানের এ আগ্রহের কথা জানান। বৃহস্পতিবার টোকিও থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
জুনাইদ আহমেদ পলক ৬ মে থেকে টোকিও বিগ সাইটে শুরু হওয়া 'জাপান আইটি উইক ২০১৬'-এ যোগদান করেন। এছাড়া জাপানের অভ্যন্তরীণ ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রীসহ সে দেশের একাধিক রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ, আইটি খাতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক ও আইটি ইনভেস্টমেন্ট সেমিনারে অংশ নেন।
টোকিও থেকে পাঠানো বার্তায় জানানো হয়, বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলাপকালে বাংলাদেশের আইটি খাতে জাপানের বিনিয়োগের এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন মাতসুশিতা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য শিগগিরই জাপানের একটি প্রতিনিধিদল ঢাকা সফর করবে এবং আইটিতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের খাতগুলো নিয়ে আলোচনা করবে।
পলক বলেন, জাপান বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু এবং ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাপান আমাদের সহযোগিতা করে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশের বিনিয়োগকারী শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে জাপান অন্যতম। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অভিযাত্রায় সরকারের গৃহীত নানা উদ্যোগ ও তার বাস্তবায়ন সম্পর্কে মাতসুশিতাকে অবহিত করেন।
ওই বৈঠকে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রায় ৩৩২ একর জমির উপর হাইটেক পার্কসহ দেশে ১২টি হাইটেক পার্ক নির্মাণের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব পার্কে বিনিয়োগে ট্যাক্স হলিডেসহ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। সরকার আইটি খাতে অনুকূল বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি করেছে।
বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক এস এম আশরাফুল ইসলাম, এটুআই প্রোগ্রামের জনপ্রেক্ষিত বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা ও আইটি খাতে ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে জাপান সফর করছেন।
বিডি-প্রতিদিন/ এস আহমেদ