জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা স্থগিত চেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার করা দু'টি আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে নিম্ন আদালতে মামলাটির কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার দুটি রিভিশন আবেদনই আজ (রবিবার) হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছেন। তাই বিচারিক আদালতে এই মামলা চলতে আর কোনো বাধা নেই।’
এর আগে, তদন্ত কর্মকর্তার পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সংক্রান্ত দুটি আবেদন ১৭ এপ্রিল খারিজ করে দেয় বিচারিক আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টের রিভিশন আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আবেদনে মামলার কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়। পরে ২১ এপ্রিল আবেদন দুটি কার্যতালিকায় আসলে বিচারপতি মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে আবেদন করতে বলেন। সেই আবেদনের ওপর নিয়মিত বেঞ্চে শুনানি শেষে আদেশের এদিন নির্ধারণ করা হয়।
এই মামলার কার্যক্রম ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে চলছে। বিচারিক আদালতে খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য আগামী ১৯ মে পরবর্তী তারিখ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক।
মামলায় খালেদা ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
বিডি-প্রতিদিন/১৫ মে, ২০১৬/মাহবুব