বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে আরো উত্তর-পূর্ব দিকে এগিয়ে শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এ ঝড়ের তাণ্ডবে বাংলাদেশের সাত জেলায় অন্তত ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। শ্রীলঙ্কায় নিহত হয়েছেন শতাধিক, বাস্তুহারা হয়েছেন দুই লাখের বেশি মানুষ।
বঙ্গোপসাগরে জন্ম নেয়া রোয়ানু শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এ ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুক্রবার থেকেই সারাদেশে বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতদরের রোয়ানুর সর্বশেষ বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ডপলার রাডার ইকো ও আবহাওয়া উপাত্ত বিশ্লেষণ থেকে দেখা যায়, উপকূল অতিক্রমরত ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আরো উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার বিকেল ৫টায় চট্টগ্রামের কাছ দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে এবং বৃষ্টি ঝড়িয়ে দুর্বল হয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
স্থল নিম্নচাপটি বর্তমানে বাংলাদেশের ফেনী, সীতাকুণ্ড ও খাগড়াছড়ি এবং ভারতের ত্রিপুরা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, মংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছিল তা নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাবধানে চলতে বলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২২ মে, ২০১৬/ হিমেল- ০২