নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে ইউপি নির্বাচনে আ.লীগের প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নার সমর্থকরা পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে আসামি ছিনতাই করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় আওয়ামী লীগ কর্মীরা পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরসহ পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে আহত করে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এসময় তাদের হামলায় সোনারগাঁও থানার দারোগাসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আর ওই ঘটনায় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাহাবুদ্দিন সাবুর সমর্থক আজিজুল হক মুকুলের ইমানের কান্দি বাড়িতে আ.লীগ প্রার্থী জাহিদ হাসান জিন্নার সমর্থক গোলজারের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় মুকুলের বাবা মুক্তিযোদ্ধা সলিমুল্লাহ ও মা নুরজাহানসহ ১০ জন আহত হন।
এ ঘটনায় আজিজুল হক মুকুল বাদি হয়ে সোনারগাঁও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর উপ-পরিদর্শক (এসআই) এলাহী ইমানে কান্দির ওই বাড়িতে তদন্তে যান। তদন্ত শেষে থানায় ফেরার পথে বাংলাবাজার এলাকায় ভাঙচুর মামলার আসামি মোখলেসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসছিলেন।
পথে নাজিরপুর স্কুলের সামনে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা গোলজারের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আটককৃত মোখলেসকে ছাড়িয়ে নেয়। এসময় এসআই এলাহী, কনস্টেবল আকরাম, আরিফ, অলিউল্লাহ ও হায়াত আলীসহ ৭ পুলিশকে পিটিয়ে আহত করে তারা।
খবর পেয়ে থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদেরের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আব্দুল মতিন, মহিউদ্দিন, আলেক মিয়া, জামাল, মুজিবুর রহমান, আনিছুর রহমান, কমরউদ্দিন, মামুনুল ইসলাম, আনিছুর রহমান, রাব্বিজুল নামের ১১ জনকে আটক করে।
পুলিশের উপর হামলার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সোনারগাঁও থানার ওসি শাহ মো. মঞ্জুর কাদের পিপিএম বলেন, এসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করেছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ জিন্নাহর সমর্থক ১১ জনকে আটক করেছে।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৪ মে ১৬/ সালাহ উদ্দীন