নতুন অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু ক্ষেত্রে শুল্ক কর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। শুল্ক বাড়ানোর কারণে বেশ কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
যেসব পণ্যের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-
তামাক পণ্য : হাতে ও অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে তৈরি বিড়ির ওপর ১০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপণের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য প্রস্তুতকৃত তামাক এবং অন্যান্য সমজাতীয় পদার্থে, তামাকের শুল্কও ১০০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে সকল ধরনের তামাকতাজ পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
নির্মাণ সামগ্রী : নুড়ি পাথরের ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। আগে এ পণ্যটি শুল্কমুক্ত ছিল। ভাঙা বা চূর্ণ পাথরের ওপর ২০ শতাংশ থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সব ধরনের রড, কাঠের কয়লা, লোহা ও স্টিলের ওপর নতুন করে ২০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ফেরো অ্যালয়, বিলেট, বার রড, অ্যাঙ্গেল, ফ্লই অ্যাশের শুল্ক বাড়ানোর কারণে নির্মাণ ব্যয় বাড়বে।
সুগন্ধি : সুগন্ধির ওপর ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করায় সুগন্ধির দাম বাড়বে।
মোবাইল বিল : মোবাইল ফোনের সিম ব্যবহার করে কথা বলাসহ অন্যান্য সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে মোবাইল ফোনের সিম ভিত্তিক সব ধরনের সেবার ওপর গ্রাহকের খরচ বাড়বে।
বৈদ্যুতিক সামগ্রী : ল্যাম্পহোল্ডার, অপটিকাল ফাইবার, তার ও অন্যান্য যন্ত্রাপাতির ওপর নতুন করে ১০ শতাংশ হারে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করার বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দাম বাড়বে।
চাল : আমদানি করা কাড়া (ব্রাউন) চাল, ভাঙা চালের ওপর ১০ শতাংশ থেকে শুল্ক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে আমাদনি করা চালের দাম বাড়তে পারে।
গম ও ভুট্টা : ভুট্টার আটার ওপর ১০ শতাংশ থেক বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে কম ও ভুট্টার স্টার্চের ওপর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ হারে আমদানি শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে ভুট্টা ও গমজাতীয় পণ্যের দাম বাড়তে পারে।
পাঠ্যবই : প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার পাঠ্য বাইয়ের ওপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিশুদের ছবি, অঙ্কন ও রঙিন বইয়ের ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বইয়ের দাম বাড়বে।
ওয়াশিং মেশিন : গৃহস্থালীতে ব্যবহার হওয়া জাতীয় ওয়াশিং মেশিনের ওপর আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করায় কাপড় পরিষ্কার করার এ যন্ত্রের দাম বাড়বে।
ওষুধ : ওষুধ শিল্পের কাঁচামালের ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করার প্রস্তাব করায় ওষুধের দাম বাড়বে।
রাসায়নিক পণ্য : টেলকাম পাউডার, ইসিজি ও আল্ট্রাসাউন্ড পেপার, পাল্পের তৈরি ফিন্টার ব্লকস-এর শুল্ক বাড়ানোর কারণে এসব রাসায়নিক পণ্যের দাম বাড়বে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০২ জুন ১৬/ সালাহ উদ্দীন