রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার ঘটনায় ‘বোমা প্রস্তুতকারী’ সোহেল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) থেকে নব্য জেএমবিতে যোগ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।
এসময় মনিরুল ইসলাম বলেন, গুলশান হামলায় জড়িত সোহেল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে খুঁজছে পুলিশ। তিনি কীভাবে জড়িত ছিলেন জানতে চাইলে মনিরুল বলেন, তিনি ‘বোমা প্রস্তুতকারী’ ছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
এর আগে গুলশানে হামলা মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তা জানান, গুলশান হামলার মূল সমন্বয়ক তামিম চৌধুরী ও যোগাযোগ সমন্বয়ক তাওসিফ হোসেন নারায়ণগঞ্জে পুলিশের অভিযানে নিহত হন। হামলার অপারেশনাল কমান্ডার ছিলেন নুরুল ইসলাম মারজান, পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন জোনায়েদ খান, খালেদ ও মানিক। এ ছাড়া ‘নব্য জেএমবি’ নেতা রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধী গুলশানে হামলা চালাতে দুজনকে নিয়োগ দিয়ে তামিম চৌধুরীর কাছে পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ওই হামলার বিষয়ে জানতেন নব্য জেএমবির আরেক নেতা রিপন। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র বলেছে, মারজান গোয়েন্দা জালে ধরা পড়ার পর্যায়ে আছেন। আর জোনায়েদ খানের সর্বশেষ অবস্থান ছিল কল্যাণপুর আস্তানায়।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম জানান, গুলশানে হামলার পরিকল্পনাকারী, অর্থ, অস্ত্রের জোগানদাতাসহ ১০ জনের সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে। গুলশানের হামলার অপারেশনাল কমান্ডার নুরুল ইসলাম মারজান, জোনায়েদ খানসহ ছয়জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। বাকিদের অবস্থান জানতে তদন্ত চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ২ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-০৪