মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত হয় নব্য জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক মুরাদ। অনেকে তাকে বলেন জাহাঙ্গীর ওরফে ওমর। তবে তিনি মুরাদ নামেই বেশি পরিচিত।
মিরপুরের রূপনগরে পুলিশের অভিযানে নিহত নব্য জেএমবির সামরিক প্রশিক্ষক মুরাদের বয়স বয়স ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হবে। কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, শুক্রবার রূপনগরের যে বাড়িতে মুরাদ নিহত হয়, সেটি পাঁচতলা। ওপরের তলায় স্ত্রী ও দুই মেয়ে নিয়ে থাকতো সে। গত ১ জুলাই সে ওই বাসায় ওঠে। এরপর ২৮ তারিখে পরিবার নিয়ে চলে যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) এডিশনাল কমিশনার দিদার আহমেদ জানান, ওই বাড়িতে একাধিক চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্র পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ার ওই বাড়িতে মুরাদের নিয়মিত যাতায়াত করতো বলে তাদের কাছে তথ্য ছিল।
দিদার আহমেদ আরও জানান, এ পর্যন্ত মুরাদের তিনটি নাম পাওয়া গেছে- মুরাদ, ওমর ও জাহাঙ্গীর। মুরাদ যে বাসাটিতে থাকতো সেটির বর্ণনা দিতে গিয়ে দিদার আহমেদ জানান, দুইটি বেড রুম, ড্রয়িং রুম ও ডাইনিং রুম রয়েছে। বাসার ভেতরে খাট ও ডাইনিং টেবিল ছাড়াও আছে দামি সোফাসেট।
এর আগে ছানোয়ার হোসেন জানান, পাইকপাড়ার অভিযানের পরদিনই রূপনগরে অভিযান চালানো হয়। তবে তার আগেই সে পালিয়ে যায়। শুক্রবার মুরাদ ঘরের মালপত্র নিতে আসে। এ সময় বাড়িওয়ালা খবর দিলে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই অভিযানে মৃত্যু হয় মুরাদের। আহত হন চার পুলিশ কর্মকর্তা।
মুরাদ গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলাকারীদের প্রশিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম একজন।