ভারতের ফারাক্কা বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে যে খবর বেরিয়েছে তা ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’ বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ একথা জানিয়ে বলেছেন, 'পানিসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ফারাক্কা বাঁধের গেটগুলো দিয়ে গঙ্গার পানিকে মসৃণ ভাবেই ছাড়া হচ্ছে।'
গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলোতে প্রকাশিত পানি সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদের একটি প্রতিবেদন তুলে ধরে বিকাশ স্বরূপ বলেন, 'মি. আনিসুলই বলেছেন ভারত হঠাৎ করে তাদের ফারাক্কা বাঁধের গেট খোলেনি এবং বাংলাদেশে নতুন করে বন্যার কোন আশঙ্কা নেই। বর্ষাকালে অতিরিক্ত পানি ছাড়ার জন্য ফারাক্কা বাঁধের সব গেট খোলাই থাকে, এটা নতুন কিছু নয়।'
শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে এ প্রসঙ্গে স্বরূপ বলেন, 'ফারাক্কা গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে তা ‘ভুল ও বিভ্রান্তিকর’। বর্ষাকালে গঙ্গার অতিরিক্ত পানিকে মসৃণ ভাবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য ফারাক্কার গেট খোলাই থাকে। এই প্রক্রিয়াটি রুটিন মাফিক এবং অবশ্যম্ভাবী’।
ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে স্থায়ী ব্যবস্থা অনুযায়ী, বর্ষাকালে দুই দেশের কেন্দ্রীয় নদী কমিশনের পক্ষ থেকে ফারাক্কা ও সাহিবগঞ্জ এলাকায় বন্যার সতর্কতা থাকে। সেখানে নতুন করে ফারাক্কা বাঁধের গেট খোলা নিয়ে কোন সতর্কতা জারি করা হয়নি।'
পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র এদিন আরও সেদেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত আরেকটি প্রতিবেদন তুলে ধরে তিনি বলেন বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পক্ষ থেকেই বলা হয়েছে আগস্ট মাসে পানি বৃদ্ধির পরিমাণ অস্বাভিক নয়।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের ফারাক্কা বাঁধের প্রায় সব গেট খুলে দেওয়ায় বাংলাদেশে পদ্মা বিধৌত এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সেখানে আরও বলা হয় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে পদ্মার পানির সমতল। রাজশাহীতে পদ্মার পানির উচ্চতা বাড়ায় নতুন নতুন একলা প্লাবিত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/হিমেল-১৮