একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর দাফন নিজ গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে হবে বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী খন্দকার আয়েশা খাতুন। শনিবার সন্ধ্যায় মীর কাসেমের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় কারা ফটকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
মীর কাসেম আলীর গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার সুতালড়ী ইউনিয়নের চালা গ্রামে। মীর কাসেমের নির্মিত মসজিদ সংলগ্ন লেবু বাগানের পাশে তাকে দাফন করা হতে পারে। যদিও এর আগে মীর কাসেম মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত হতে চেয়েছিলেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল।
খন্দকার আয়েশা আরও বলেন, মীর কাসেমের শেষ ইচ্ছা ছিল তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেম আরমানকে দেখা এবং তার সঙ্গে কথা বলা। মৃত্যুর আগে আরমানের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করার ইচ্ছা ছিল তার। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে আরমান নিখোঁজ থাকায় তার সঙ্গে কথা হলো না মীর কাসেমের।
ফাঁসির বিষয়টি মীর কাসেমকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে স্ত্রী বলেন, তিনি মৃত্যুকে ভয় পান না। তিনি সবাইকে শান্ত থাকতে এবং ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন।
সন্ধ্যা ৬টা ৩৫ মিনিটে পরিবারের সদস্যরা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার ১০/১২ মিনিট পর কারাগারে প্রবেশ করেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি-প্রিজন্স) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
কারা সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকরের নির্বাহী আদেশ কারাগারে পৌঁছে যাওয়ায় আজ রাতের যেকোনো সময় মীর কাসেমের ফাঁসি কার্যকর হতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/ ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬/ এনায়েত করিম