প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, কে কোন দল করে আমি সেটা দেখিনা দেখবোনা, যে অপরাধী সে অপরাধী। সেই অপরাধীর বিচার হবে।
সংসদের দ্বাদশ অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বহুল আলোচিত সিলেটের খাদিজাকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে এ কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এসময় বৈঠকে সভাপতিত্ব করছিলেন। কিছু পত্রিকা এবং কিছু লোক এটাকে দলীয় হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলীয় হিসেবে আমরা তাদেরকে প্রশয় দিচ্ছিনা। যারাই অপরাধী, যে অপরাধ করুক সে শান্তি পাবেই। তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, এখানে কোন দলীয় কোন্দল ছিলনা বা দল হিসেবে কেউ মারতে যায়নি। কেন মারতে গেছে সেটাতো পেপারেই এসেছে। সে প্রেম নিবেদন করেছিল, মেয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেজন্য হত্যা করতে গেছে। কিন্ত সেজন্য কি একটা মানুষকে হত্যা করতে হবে? তিনি দু:খ করে বলেন, অনেকে এ মর্মান্তিক ঘটনা মোবাইলে ভিডিও করেছে, কিন্তু কেউ মেয়েটিকে রক্ষা করতে যায়নি। কেন এই মানবিক মূল্যবোধগুলো হারিয়ে গেল কেন? কেন কেউ সেখানে গেলনা- সেটাই আমার প্রশ্ন।
এ ঘটনার ব্যাপারে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের সমালোনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার প্রশ্ন তারা যখন জীবন্ত মানুষের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারলো সেই কথা কি ভুলে যাচ্ছে? আমি যদি বলি, এভাবে প্রকাশ্যে মানুষ হত্যা করা এটাতো এরাই শিখিয়েছে। বিএনপি জামায়াতই শিখিয়েছে। এরাই পথ দেখিয়েছে। নৃশংসতা করে করে মানুষের ভিতরে একটা পশুত্বের জন্ম দিয়ে দিয়েছে। আমরা অপরাধীকে ধরেছি।
প্রধানমন্ত্রী সমাপনী ভাষণে ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশকে সংযত আচরণ করার আহবান জানিয়ে বলেন, যে কোন দেশই হোক, কোন সংঘাত হলে তার জন্য আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবো।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি এইটুকুই চাই যে, দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় থাকুক। দক্ষিণ এশিয়ায় যেন কোন রকম সংঘাত হোক, কোন রকম উত্তেজনা হোক সেটা আমরা কখনো চাইনা। কারণ যে কোন দেশই হোক, কোন দেশে সংঘাত হলে তার জন্য আমরা বাংলাদেশও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। কাজে ভারত পাকিস্তান দুটি দেশকেই আমি আহবান করবো, তারা যেন সংযত আচরণ করেন। তারা যেন কোন রকমের উত্তেজনা সৃষ্টি নরা হয়, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষগুলো যেন কোন রকম কষ্টে না পড়ে।
বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ অক্টোবর, ২০১৬/ সালাহ উদ্দীন