সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানস্থলের বাইরে বোমা বিস্ফোরণে আহতদের মধ্যে আতিক রহমান অপু (২৬) নামে এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। আজ শনিবার সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ শনিবার সকাল থেকে শিববাড়ির ‘আতিয়া মহল’ নামক বাড়ির জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ও পুলিশের সোয়াট সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ বাহিনী।
ওই এলাকায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চলাকালেই বাইরের রাস্তায় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে। একজন স্থানীয় সাংবাদিকসহ আহত ৩০ জন আহত হন। তাদের সিলেট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর আতিক রহমান অপু (২৬) নামক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আতিয়া মহল থেকে ৩০০ গজ উত্তরে এ বোমার বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আহতদের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় একটি দৈনিকের সাংবাদিক আজমল হোসেন (৩০), একজন পুলিশ সদস্য ও বেশ কয়েকজন পথচারী।
এদিকে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ও পুলিশের সোয়াট সদস্যরা এখনো আতিয়া মহলের ভেতর থেকে বের হয়ে আসেননি। শনিবার সকাল ৮টা ২৮ মিনিটে লে. কর্নেল ইমরুল কায়েসের নেতৃত্বে ‘অপারেশন টোয়ালাইট’ নামের অভিযানটি শুরু হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার ভোর থেকে উস্তার মিয়ার বাড়ি আতিয়া মহল ঘেরাও করে রাখে পুলিশ। ভেতর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি ছুড়লে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানায় পুলিশ।
এতে জঙ্গিরা সাড়া না দেওয়ায় সোয়াট টিমের সঙ্গে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডো ইউনিট। শুক্রবার সারারাত ধরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা বাড়িটি ও আশপাশের এলাকা ঘিরে রেখে অভিযানের প্রস্তুতি নেন।
পুলিশের ধারণা, ‘মর্জিনা’ নামে কোড ব্যবহার করে ওই বাড়িটিতে অবস্থান নিয়েছেন জঙ্গিরা। ভেতরে নব্য জেএমবি নেতা মুছা থাকতে পারেন বলেও ধারণা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
বিডি প্রতিদিন/২৫ মার্চ ২০১৭/এনায়েত করিম