পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, 'বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়।'
আজ সোমবার রাজধানীর গুলশানে ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি ডিভিশন চত্বরে বাংলা নববর্ষ-১৪২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
এ বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, তাদের পত্নীগণ এবং দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে। প্রাণ প্রাচুর্যেভরা বাঙালি বিভিন্ন আচার-অনুষ্ঠান ও পার্বনে আনন্দে মেতে উঠে। পহেলা বৈশাখ বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে লালিত পহেলা বৈশাখে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলে একসাথে উৎসবে মেতে উঠে।
তিনি বলেন, এ বছর দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে পহেলা বৈশাখ উদ্যাপিত হয়েছে। রাজধানী ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে নববর্ষের সকল অনুষ্ঠানে বিপুল জনসমাগম হয়েছে। বর্ষবরণে সকল শ্রেণি পেশার মানুষ উৎসবের আনন্দে মেতে উঠেছে।
তিনি বাঙালির নববর্ষের আয়োজনে অংশ গ্রহণ করায় বিদেশি কূটনীতিকদের ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডস, সুইডেন, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, ব্রাজিল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, র্জামানি, লিবিয়া, সৌদি আরব, ফ্রান্স, রাশিয়া, চায়না, মিশর এবং সংযুুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতগণ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এসবি’র অতিরিক্ত আইজিপি ড. জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া, অতিরিক্ত আইজিপি মো. মইনুর রহমান চৌধুরী এবং ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের শিল্পীরা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
বিডি প্রতিদিন/১৭ এপ্রিল ২০১৭/এনায়েত করিম