দালালের ফাঁদে পড়ে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশের পরই কখনও বিএসএফ কখনও পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন। হাত বদল হয়ে কারও আবার ঠাঁই হয়েছে নিষিদ্ধ পল্লীতে। পরে তাদেরকেই উদ্ধার করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাজ্যের বিভিন্ন সেফ হোমে। গত চার বছর ধরে এই সেফ হোসগুলিতেই অবস্থান করছেন বিভিন্ন সময়ে পাচার হয়ে যাওয়া প্রায় দুই শতাধিক নারী। এবার নিজেদের দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে এই নারীরা।
তবে সেক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে তারা নিজেরাই। রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তাদের অভিমত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নারীরা বাংলাদেশের ঠিকানা বলতে পারছেন না, নয়তো বাবা-মায়ের সন্ধান দিতে পারছেন না। স্বাভাবিক ভাবেই এখনও হোমেই কাটাতে হচ্ছে এই বাংলাদেশি নারীদের।
বুধবার পশ্চিমবঙ্গ নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব রোশনি সেন জানিয়েছেন ‘এই মুহুর্তে প্রায় ২২০ জন পাচারকৃত নারীকে বিভিন্ন হোমে রাখা হয়েছে এবং তারা বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। যদিও কিছু ঘটনা, আইনি জটিলতা তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে’।
পাচার হওয়া নারীদের প্রত্যর্পণের বিষয়টি দেখার জন্য তাঁর নেতৃত্বে একটি স্পেশাল টাস্ক ফোর্স’ও গঠন করা হয়েছে। এই টাস্কফোর্সে পুলিশের পাশাপাশি বিএসএফ, এনজিও, বাংলাদেশ দূতাবাস ও অন্যান্য এজেন্সিগুলির কর্মকর্তারাও প্রতিনিধিত্ব করছেন।
রোশনি সেন আরও জানান ‘গত পাঁচ বছরে এরকম প্রায় ৪০০ বাংলাদেশি নারীকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্যে অধিকাংশ নারীরাই তাদের প্রকৃত ঠিকানা এবং বাবা-মায়ের নাম বলতে পারেন নি। তবু আমরা এই প্রক্রিয়াটিকে সচল রেখে তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি’।
তিনি জানান ‘কয়েকটি ক্ষেত্রে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও আমরা বাংলাদেশি নারীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠিযে দিয়েছি, সেক্ষেত্রে আদালতে শুনানির সুবিধার জন্য ওই নারীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন