এখনই সঞ্চয়পত্রে সুদের হার কমছে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। শনিবার সকালে এনএসসি টাওয়ার কমপ্লেক্স চত্বরে 'সঞ্চয় সপ্তাহ-২০১৮' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান এই কথা জানান।
অনুষ্ঠানে জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুন্নাহার বেগমও উপস্থিত ছিলেন।
মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার সুভিধাভোগীদের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বিবেচনা করে বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের বর্তমান সুদের হার বহাল রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।
মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, বর্তমানে দেশে বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় দুই কোটি। তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা সরকারের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্পের বর্তমান সুদের হার অক্ষুণ্ন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
ব্যাংকের সঙ্গে সঞ্চয়পত্রের সুদ হারের তারতম্য থাকলেও জনগণের স্বার্থে সহসাই সমন্বয় হবে না। কারণ, এই মাধ্যমেই বিনিয়োগ করে আর্থিক নিরাপত্তা পায় সাধারণ মানুষ। বলা হয়, ব্যাংকিং খাতের সুদ হার ৬ থেকে ৭ শতাংশ।
তবে সঞ্চয়পত্রে এই হার সর্বোচ্চ ১২ শতাংশ। উচ্চসুদ হারের কারণে সরকারের ভর্তুকি বাড়লেও সাধারণ মানুষের স্বার্থে এই হারই চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবে সরকার।
চলতি অর্থ-বছরে সঞ্চয়পত্র খাত থেকে ঋণ লক্ষ্য ধরা হয় ৩০ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থ-বছরের আট মাসেই বিক্রি হয়েছে লক্ষ্যের ১০ শতাংশ বেশি। বছর শেষে যা গিয়ে দাঁড়াতে পারে ৪০ হাজার কোটি টাকা। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে শুল্ক ছাড়ও পাওয়া যায়।
বর্তমানে দেশে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র আছে। এগুলো হলো- পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র; তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র,পরিবার সঞ্চয়পত্র ও পেনশনার সঞ্চয়পত্র।
বিডি প্রতিদিন/০৮ এপ্রিল ২০১৮/আরাফাত