রাজধানীতে বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় চালককে ফাঁসিসহ ৯ দফা দাবিতে বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা। বিমানবন্দর সড়ক অবরোধ করায় আশেপাশে সড়কগুলোতেও যানচলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব দাবি মেনে না নিয়ে ৭ দিনের বাস্তবায়ন না করলে আবারও মঙ্গলবার থেকে আন্দোলন শুরু হবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল:
১. বেপোরোয়া ড্রাইভারকে ফাঁসি দিতে হবে এবং এই শাস্তি সংবিধানে সংযোজন করতে হবে।
২. নৌ-পরিবহন মন্ত্রীর গতকালের বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।
৩. শিক্ষার্থীদের চলাচলে এমইএস ফুটওভার ব্রিজ বা বিকল্প নিরাপদ ব্যবস্থা নিতে হবে।
৪. প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাতে স্পিড ব্রেকার দিতে হবে।
৫. সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্র-ছাত্রীদের দায়ভার সরকারকে নিতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীরা বাস থামানোর সিগন্যাল দিলে, থামিয়ে তাদের বাসে তুলতে হবে।
৭. শুধু ঢাকা নয়, সারাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
৮. ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ ও লাইসেন্স ছাড়া চালকরা গাড়ি চালাতে পারবে না।
৯. বাসে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া যাবে না।
গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকার বিমানবন্দর সড়কের হোটেল র্যাডিসনের সামনে জাবালে নূর পরিবহনের দুটি বাসের প্রতিযোগিতায় নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন কলেজের দুই শিক্ষার্থী। আহত হয়েছেন আরও ১৪ জন। হতাহতের শিকার প্রত্যেকেই শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী। এরা ফুটপাথে দাঁড়িয়ে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এদিকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত তিনটি বাসের তিনজন ড্রাইভার ও দুইজন সহকারীকে আটক করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা