দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ ভূমিকম্পের যথেষ্ট ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকির মাত্রার ওপর ভিত্তি করে দেশকে চারটি সিসমিক জোনে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট ও পার্শ্ববর্তী এলাকা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ। অপরদিকে যশোর ও খুলনা এলাকা ভূমিকম্পের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বৈঠকে ইসরাফিল আলমের (নওগাঁ-৬) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান।
দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুযোর্গ কবলিত জনগণকে অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ২৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুসন্ধান ও উদ্ধার যন্ত্রপাতি ক্রয় করে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগকে সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া চীনের সঙ্গে সম্পাদিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী অনুদান হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত ভূমিকম্পে উদ্ধার কাজে ব্যবহারের জন্য আনুমানিক ১০০ কোটি টাকার সরঞ্জাম ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে সরবরাহ করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, ভূমিকম্পসহ যে কোনো দুর্যোগের প্রস্তুতি, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য নগর স্বেচ্ছাসেবকসহ বাংলাদেশ স্কাউট, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিসি), ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, গার্লস গাইড, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি), ইত্যাদি সংস্থার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক দল সব সময় প্রস্তুত আছে। এরমধ্যে দুই হাজার ৫০০ জন প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কাউট শিক্ষককে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়া আয়োজনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষিত শিক্ষকগণের মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সুবিধাজনক সময়ে ভূমিকম্প বিষয়ক মহড়ার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, ও সিলেট সিটি কর্পোরশেনসহ সকয়েকটি মহানগরীতে আপদকালীন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা