ডাক্তারি পড়তে এসে বাংলাদেশে অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে এক কাশ্মীরী ছাত্রীর। শনিবার অস্বাভাবিকভাবে মৃত্যু হয় ২২ বছর বয়স্ক ওই ছাত্রীর। জম্মু-কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলার বান দিয়ালগাম এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীর নাম কোয়ারাতুল এইন। বাংলাদেশের তাহির-উল-নিসা মেডিকেল কলেজের চূড়ান্ত বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন কোরাতুল।
এদিকে লাশ ভারতে ফিরিয়ে নিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আবেদন জানিয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের দুই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহেবুবা মুফতি। শনিবার পৃথক ট্যুইট করে ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লাহ এবং পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির নেত্রী মেহেবুবা মুফতি ওই কাশ্মীরী ছাত্রীর লাশ দেশে নিয়ে যেতে সুষমার কাছে আবেদন জানান।
সুষমার ট্যুইটের সাথে ট্যাগ করে ওমর আবদুল্লা লেখেন, ‘অনন্তনাগের এক সাংবাদিকের কাছ থেকে আমার কাছে অনুরোধ আসে। তাদের এক সহকর্মীর বোন কোয়ারাতুল বাংলাদেশের তাহির-উল-নিসা মেডিকেল কলেজে পড়ত। ওর পরিবার একজন অল্পবয়স্ক মেয়ের লাশ ফিরে পেতে চায়।’
মেহেবুবা লেখেন, ‘কোয়ারাতুল এইন বলে এক কাশ্মীরী ডাক্তারের ছাত্রী বাংলাদেশ মারা যায়। সে তাহির-উল-নিশা মেডিকেল কলেজে পড়ত। তার মরদেহ দেশের বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে আপনাকে সহায়তা করার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’
শনিবার কোরাতুলের ভাই নাভিদ ভাট ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘শুক্রবার রাতেও আমাদের সাথে বোনের কথা হয় কিন্তু রবিবার সকালে আমাদের ফোন করে জানানো হল যে, ও ঘুম থেকে উঠছে না এবং হোস্টেলের রুমে তাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।’
আয়াতুলের মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে পেতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। সেই সাথে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের সাথেও যোগাযোগ করা হয়।
এব্যাপারে নাভিদ বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছি যে অনন্তনাগেই তার শেষকৃত্য করতে চাই, তার মরদেহটি যেন এখানে নিয়ে আসা হয়। বাংলাদেশ সরকারের তরফেও আমাদের কিছু আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার কথা বলা হয়েছে, আমরা সেই সব নথি পাঠিয়েও দিয়েছি।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল