২২ এপ্রিল, ২০১৯ ২২:৪৯
বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক

খালেদা জিয়ার প্যারোল আর সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

খালেদা জিয়ার প্যারোল আর সংসদে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আবেদন না করা এবং দলের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেওয়ার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির নেতারা।

তারা এ বিষয়টিকে মিমাংসিত ইস্যু মনে করে জাতীয় সংসদে না যাওয়ার বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্যারোলে আবেদন না করে জামিনের জন্য আইনি লড়াইকে আরও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।

কেউ দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে শপথ নিলে তার ব্যাপারে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দেন স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য। লন্ডন থেকে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও যুক্ত হয়ে এতে একমত পোষণ করেন।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনেতিক কার্যালয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সদস্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এ তথ্য জানান।

এতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী অংশ নেন।

বৈঠকের বিষয়ে স্থায়ী কমিটির একজন নেতা জানান, সম্প্রতি বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা শপথ নিচ্ছেন এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্কাইপিতে সিনিয়র নেতাদের মতামত জানতে চান। এ সময় উপস্থিত স্থায়ী কমিটির সবাই শপথ না নেওয়ার পক্ষে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। তাদের সবার অভিন্ন মতামতের উপর ভিত্তি করে এমপিদের শপথ না নেওয়ার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। কেউ অংশ নিলে তার ব্যাপারে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তও হয়।

স্থায়ী কমিটির একজন আইনজীবী সদস্য জানান, বৈঠকে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়েও আলোচনা হয়। এ সময় হাসপাতালে তার চিকিৎসা কেমন চলছে তা তদারকি করারও সিদ্ধান্ত হয়।

এ ছাড়াও বৈঠকে কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। তার চিকিৎসায় কোন সমস্যা আছে কিনা তার দিকে খেয়াল রাখার কথা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আইনি লড়াইকে আরও জোরদার ও সমন্বিত করার সিদ্ধান্ত হয়। মামলা পরিচালনার জন্য সিনিয়র আইনজীবীদেরকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয় বৈঠকে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর