২৫ এপ্রিল, ২০১৯ ০২:২৭

সংসদে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তোপের মুখে মোকাব্বির খান

অবিলম্বে সাধারণ নির্বাচনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

সংসদে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে তোপের মুখে মোকাব্বির খান

মোকাব্বির খান। ফাইল ছবি

বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান জাতীয় সংসদে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার দাবি জানিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন।

সংসদে প্রথম বক্তব্যে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা না হওয়ায় সারাদেশের মানুষকে পিড়িত করছে। তার চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি।

এসময় সরকারি দলের সদস্যরা হই হই করে তার বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। বুধবার রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলেন গণফোরামের এই সংসদ সদস্য।

গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মোকাব্বির খান বলেন, একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রথমেই ধ্যর্থহীন ভাষায় প্রতিবাদ জানাই। গত ৩০ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আছে। জাতির জনকের কন্যার কাছে সর্বপ্রথম দাবি জানাব অবিলম্বে এমন একটি সাধারণ নির্বাচনে ব্যবস্থা করুন যাতে দলমত নির্বিশেষে দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, আমার নেতা সব সময় জাতীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্যের কথা বলেন। কিন্তু সেই ঐক্য ক্ষমতা কেন্দ্রিক নয়, এই ঐক্য চাওয়া পাওয়ার ঐক্য না। এই ঐক্যে স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান  নেই। জাতির জনকের সই করা সংবিধান সুদৃঢ় করার ঐক্য।

তিনি বলেন, গণফোরামের সদস্য হিসেবে ৪ লাখ ২৫ হাজার  কোটি টাকা পাচার, ব্যাংকের টাকা লুটপাট কিংবা নুসরাতের পুড়িয়ে মারার নীতির বিপক্ষে আমরা। সময় এসেছে আত্মজিজ্ঞাসার। গত ৩০ ডিসেম্বরের মত নির্বাচন কেন করা হলো। আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র কতটা  দায়িত্ব পালন করেছে। এরআগে ২০০০ সালে ১ কোটি ২৮ লাখ ভুয়া ভোটার দিয়ে উপ-নির্বাচনের চেষ্টা করা হয়েছিল। যার ফসল এক এগারোর সরকার গঠন হয়েছিল।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বর্তমানে কারাবন্দি। তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তার চিকিৎসা না হওয়ায় দেশের সচেতন মানুষকে পিড়িত করছে। অবিলম্বে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া হলে আমি বিশ্বাস করি বঙ্গবন্ধু কন্যার মহানুভুতার প্রমাণ মিলবে। রাজনীতিতে যারা জেষ্ঠ্য তাদের সবার জানা আছে, বিরোধীদলের নেতাদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালভাসা।

এসময় তিনি তার এলাকার বিএনপি’র গুম হওয়া নেতা ইলিয়াস আলীর অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান।

বক্তব্যের মাঝে স্পিকার বলেন, আপনি শেষ করুন। আপনাকে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনি এসব বিষয়ে পরে বলার সুযোগ পাবেন। শেষ করেন। এরপরও তিনি বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকলে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর