মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনা তদন্তে সোমবার পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহত তিতাস ঘোষ নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পৌর এলাকার মৃত তাপস ঘোষের ছেলে। কালিয়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল তিতাস।
এদিকে, যে ভিআইপির ফোনে ফেরি ছাড়া হয়নি সেই মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলামের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, এএসপি (সার্কেল) আবির হোসেন ও বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) একেএম শাজাহান। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অথচ ওই দিন ‘ভিআইপি যাবে’ বলে ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালামকে বার্তা পাঠান জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। মূলত তার অনুরোধ রাখতেই ওই দিন দেরিতে ফেরি ছাড়া হয়। ফলে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় স্কুলছাত্র তিতাস।
একই ঘটনা তদন্তে আরেকটি কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিসি। বিআইডব্লিউটিসির জেনারেল ম্যানেজার মো. আশিকুজ্জামানকে প্রধান করে দুই সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর সদস্য হলেন- সংস্থাটির ডিজিএম (মেরিন) মো. ফজলুল হক।
এরই মধ্যে সোমবার দুপুরে আশিকুজ্জামানের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিসির দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শনকালে কুমিল্লা ফেরির ইনচার্জ, কাঁঠালবাড়ি ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। একই সঙ্গে ঘাট এলাকা পরিদর্শন করেন তারা। তবে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের কিছুই জানাননি তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি ১নং ফেরিঘাটে ফেরির জন্য অপেক্ষা করছিল সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত স্কুলছাত্র তিতাসকে বহনকারী একটি অ্যাম্বুলেন্স। তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর রাত ১১টার দিকে ফেরিতে ওঠে অ্যাম্বুলেন্সটি। কিন্তু ততক্ষণে মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মারা যায় ওই স্কুলছাত্র।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম