২৮ জানুয়ারি, ২০২০ ১৯:৪৮

করোনাভাইরাসে মৃতের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না চীন!

নাহিদুর রহমান হিমেল:

করোনাভাইরাসে মৃতের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না চীন!

ইয়াননান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্ণ সিদ্দিকী

চীনে হঠাৎ করেই নতুন ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। 'করোনা' নামের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিন দিন বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। নতুন এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত চীনে অন্তত ১০৬ জন মারা গেছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজারের বেশি নাগরিক। তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সঠিক তথ্য দিচ্ছে না চীন। সেখানকার গণমাধ্যমেও এ বিষয়ে কোনো সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সেখানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। 

এদিকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এই ভাইরাসের কোনো প্রভাব লক্ষ্য করা না গেলেও জনমনে কিছুটা আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে এই ভাইরাসে আক্রান্ত বেশ কয়েকজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চীন ছাড়াও এই করোনা ভাইরাস ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৬টি দেশে ছড়িয়েছে বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর এসেছে। 

এই জটিল ভাইরাসের উৎপত্তি যে দেশে সেই চীনেই আতঙ্কে সময় পার করছেন বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এখন পর্যন্ত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সেই তথ্য জানা না গেলেও বেশির ভাগ বাংলাদেশিই এখন দেশে ফিরতে উদগ্রিব। 

চীনের ইয়াননান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্ণ সিদ্দিকী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, নতুন ভাইরাস নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। এখানে এই ভাইরাসে মৃতের বা আক্রান্তের সঠিক তথ্য কোনো গণমাধ্যমে দেওয়া হচ্ছে না। চীন সরকার এসব তথ্য প্রকাশ করছে না। এখন পযর্ন্ত চীনে অনেক মানুষ মারা গেছে বলে স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি। তবে সরকারিভাবে ১০৬ জনের মৃত্যুর খবর দেওয়া হচ্ছে।

কুনমিংয়ের ইয়াননান বিশ্ববিদ্যালয়ে চাইনিজ কালচার এবং সাহিত্য নিয়ে অধ্যয়নরত এই শিক্ষার্থী আরো বলেন, খুব অল্প সময়ে চারপাশে খুব ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। 

দেশে ফেরার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, চারপাশে পরিস্থিতি নিয়ে আমিও আতঙ্কিত। অনেক বাংলাদেশিই দেশে ফিরছেন তবে এই মুহূর্তে আমি দেশে ফিরতে আগ্রহী নই। কারণ এখন আমরা যারা এখানে আছি তারা দেশে ফিরলে কারো না কারো শরীরে এই ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের কথা ভেবে আপাতত আমাদের এখানেই থাকা উচিত বলে আমি মনে করি। 

তিনি জানান, নতুন ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে চীনা সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে উহান প্রদেশে আক্রান্ত একজন চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। আমরা আশা করছি চীনা সরকার এটিকে সুন্দর ভাবে হ্যান্ডেল করবে। 

এদিকে বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে অধ্যায়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী হাসান মাশরুর তানজিল দেশে ফেরার কথা ভাবছেন। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বেইজিং থেকে অনেক বাংলাদেশি দেশে ফিরেছে। আমিই দেরি করে ফেলেছি। শিগগিরই দেশে ফিরবো। টিকেট কেটেছি। 

হাসান মাশরুর বলেন, এখানে ৮০ জন শনাক্ত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে চীনের কোনো গণমাধ্যম এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিচ্ছে না। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর